এ বছর নোবেল পুরস্কারে নারীরা
২০২০ সালের রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত রয়েছেন দুই নারী। তাঁরা হলেন এমানুয়েলে কার্পেন্তিয়ের ও জেনিফার এ. দোদনা।
সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, জিনোম এডিটিং বা জিনোম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি পদ্ধতির বিকাশে অবদানের জন্য এমানুয়েলে কার্পেন্তিয়ের ও জেনিফার এ. দোদনাকে এবছরের নোবেল দেওয়া হল।
যৌথভাবে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন আন্দ্রেয়া মিয়া ঘেজ। তিনি আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং ইউসিএলএ-তে পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। ডিসকভার ম্যাগাজিন ২০০৪ সালে নিজ নিজ ক্ষেত্রে উচ্চতর দক্ষতা প্রদর্শনকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ২০জন বিজ্ঞানী হিসাবে আন্দ্রেয়া মিয়াকে তালিকাভুক্ত করে।
এবার সাহিত্যেও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হলেন একজন নারীলেখক। আমেরিকান কবি লুইস গ্লুক সুইডিশ সম্পর্কে একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্লুককে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাঁর অসামান্য কাব্যকণ্ঠ ও নিভাবরণ সৌন্দর্যবোধের কারণে, যা ব্যক্তিসত্তাকে বরাবর সার্বজনীন করে তুলেছে।
গ্লুক প্রধানত কবি হলেও সাহিত্যসমালোচক হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি আছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে তাঁর ১২টি কবিতার বই এবং কয়েকটি প্রবন্ধের গ্রন্থ। নোবেল কমিটির পক্ষ এই পুরস্কার ঘোষণার অনুষ্ঠান থেকে বলা হয়েছে, গ্লুকের সব সৃষ্টিতেই রয়েছে স্পষ্টভাষ্য। কখনও সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়নি তাঁর লেখায়। ছোটবেলা থেকে পারিবারিক জীবন এবং বাবা-মা আর ভাইবোনের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক ছিল গ্লুকের। সেই বিষয়গুলিকে সর্বজনীন করে তুলেছিলেন তিনি। মিথ ও শাস্ত্রীয় মোটিফ থেকে প্রেরণা নিয়ে বিশ্বজনীন হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল তাঁর প্রতিটি লেখায়।
গ্লুকের জন্ম ১৯৪৩ সালে। আইল্যান্ডে বেড়ে ওঠা তাঁর। উইলিয়াম কলেজ, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনার বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। স্পর্শকাতরতা রয়েছে তাঁর কবিতার প্রতিটি ছত্রে। 'দ্য ট্রায়াম্ফ অব একিলিস' কাব্যগ্রন্থের জন্য লুইস গ্লুক 'ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস সার্কেল' পুরস্কারও পান।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৪জন নারীলেখক সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন।