৮ বছর আগে খুন হওয়া মহিলা ফিরলেন দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে
মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরে, তাঁর মা পুলিশে অভিযোগ করেন যে আসমার স্বামীই তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছে। ২২ বছরের আসমা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইবরার আহমেদের। আসমার পরিবারের থেকেই তাঁদের বিয়ের আয়োজন করা হয় ২০০৯ সালে। কিন্তু, এক বছর ঘুরতে না ঘুরতে হঠাতই একদিন নিখোঁজ হয়ে যান আসমা।
পাকিস্তানের পঞ্জাব রাজ্যের পালায়ান গ্রামের বাসিন্দা ছিল আসমা বিবি। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরে, তাঁর মা পুলিশে অভিযোগ করেন যে আসমার স্বামীই তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছে। পাকিস্তানের দণ্ডবিধি অনুযায়ী, ৩০২ ধারায় স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগে ইবরার আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও, ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পেয়ে, আসমার মা সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করেন।
তার পর কেটে যায় দীর্ঘ আট বছর। চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে হঠাতই একদিন নিজের গ্রামে উদয় হন আসমা। তবে নতুন নাম ‘নীলম’ নিয়ে। সঙ্গে ছয় সন্তান।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসমা ওরফে নীলমের প্রথম পক্ষের স্বামী, ইবরার আহমেদের এক আত্মীয় তাঁকে দেখে চিনতে পারেন এবং তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দেন।
ধরা পড়েন নীলম। পুলিশি জেরায় নিজের আসল স্বীকার করে জানান যে তিনিই আসমা। পুলিশকে তিনি জানান, প্রেমিক নাজির আহমেদের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের আগে থেকেই তাঁর সম্পর্ক ছিল নাজিরের সঙ্গে। তা সত্ত্বেও, তাঁর পরিবার জোর করে বিয়ে দেয় ইবরার সঙ্গে।
নাজির দুবাইয়ে চাকরি পেয়ে যাওয়ায় আসমা তাঁর সঙ্গে পালিয়ে যান। কিন্তু, সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যাওয়ায়, তাঁরা সকলেই পাকিস্তানে ফিরে আসেন।
আসমা-নাজিরের বিরুদ্ধে ৪৯৪ ও ৪২০ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কারণ, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছদ না করেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন আসমা। গত শনিবার আসমার জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তার বদলে তাঁকে ৫০০০০ টাকার দু’টি বন্ড জমা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সূত্র: এবেলা।