পাশাপাশি
যখন দুজনে পাশাপাশি থাকার কথাছিল। তখন-ই তো ছিলাম না। আর এখন তো বড্ড দেরি হয়েছে গেছে। সেই সব কথা ভেবে এখন আর কি লাভ? আট বছর পর হঠাৎ যখন সেদিন তোমার সঙ্গে দেখা হলো ঢাবি ক্যাম্পাসের পাশে! তোমাকে চিনতে, না চিনতেই চলে গেছ আগের দূরত্বে। যত সময় যায়; তত তোমার আমার দূরত্ব বাড়ে। যত দূর দেখা গেলো, তোমার পেছন ফিরে থাকিয়ে রইলাম। অনুভব করলাম এই তুমিই তো, সেই তুমি হবে। যাকে আমি উন্মাদের মতো ভালোবাসতাম আর তুমি ভালোবাসতে আমাকে। নাকি আমার চিন্তে ভুল হচ্ছে কোথাও। সে তুমিই যদি হবে। তবে একি হাল হলো তোমার? খুব শুকিয়ে গেছ! চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে, নিশাচর মানুষদের মতো। বোধহয় তুমি কারও চেতনায় আজো রাত জাগো।
বিশ্বাস করো, তোমার সঙ্গে এভাবে দেখা হবে ভাবিনি। তোমাকে আজো খুব মিস করি। তোমার মতো কেউ হয় না কেন? তুমি হয়তো সারা জীবন আমার কবিতার সাগরে বয়ে বেড়াবে। কোনো দিন আর পাশাপাশি মুখোমুখি হবে না। শুনেছি তুমি নাকি আজ বলে বেড়াও। আমি বেশ বদলে গেছি! তোমার কোনো খোঁজখবর নেই না। আমিও শুনে ভীষণ অবাক হলাম যে, তুমি কী করে এসব কথা ভাবতে পারো! যে তুমি ছিলে আমার স্বতন্ত্র-সত্তায় প্রতিটি সূর্য জাগা ভোরের মতো উজ্জ্বল-সমুজ্জ্বল! সে তোমাকে এত তাড়াতাড়ি কী করে ভুলে যাই বল? জীবনের এপারে ও মরণের ওপারেও তোমাকে ভুলতে পারব না।
তুমিই তো এই থেমে-থেমে চলা মানুষটিকে গতিপথে সঞ্চারিত করেছিলে। চিনিয়েছিলে তার সুপ্ত প্রতিভাটুকুও। তারপর আমি, তোমার না বলা কথাগুলোও অকপটে বলে দিতে পারতাম। তা ছিল তোমার প্রতি আমার বিশেষ এক অনুভূতি। আর তোমার প্রতি আমার এই অনুভূতিটুকুও কোনো দিন যেন কমে না যায়। সেইসব কথা ভাবি আর থাকিয়ে থাকি দূর শূন্যতায়; ভাবতে-ভাবতে মনের অজান্তে দু-চোখের কোণে জল এসে যায়।
অনন্যা/এসএএস