রোজায় ওজন কমাতে হলে
রমজান মাসে একটা রুটিনবদ্ধ জীবনে প্রবেশ করে সবাই। আর রুটিনবদ্ধ হওয়ায় এখানে খুব সহজেই ওজন কমানোর টার্গেট পূরণ করা যায়। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ব্যাপক জরুরি। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় অনুসরণ করতে পারেন।
সেহরির জন্য
দুই গ্লাস পানি, পাঁচ থেকে সাতটি ভেজানো বাদাম, একটি আখরোট ও আপনার পছন্দের একটি ফল দিয়ে সেহরি শুরু করুন। পুষ্টিবিদ মোহিতার মতে, আপনি আপেল, পেঁপে, ডালিম এবং আঙুর থেকে বেছে নিতে পারেন। পছন্দের সবজির সঙ্গে তিনটি ডিম রান্না করে এবং একটি টোস্ট বা পরোটার সঙ্গে মুড়িয়ে নিন। ডিমের পালং শাক, মাশরুম, বেল মরিচ বা টমেটো যোগ করতে পারেন।
ইফতারের আয়োজনে
খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙুন, তারপরে এক গ্লাস পানি, ডাবের পানি, লাচ্ছি ইত্যাদি খান। ডাবের পানি খালি পেটে খাবেন না। তাতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এবার এক কাপ চা এবং কিছু ভাজা ছোলা খেতে পারেন।
রাতের খাবারের জন্য
রাতের খাবারে এককাপ মুরগি বা চিংড়ি রাখুন। আরও রাখুন দুই কাপ ভাজা বা ভাপানো সবজি যোগ করুন। সালাদও খেতে পারেন। কিছু ভাত বা রুটি নিন। মিষ্টি বা চকলেটের একটি ছোট টুকরো ডেজার্টের জন্য নিন।
রমজানে ওয়ার্কআউট
সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার পর অন্তত আধ ঘণ্টা ব্যায়াম করার বা দ্রুত হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে রইলো কিছু পরামর্শ: জিমে যাওয়ার আগে বা হাঁটতে যাওয়ার আগে একটি কলা খান। ওয়ার্কআউটের পরে পানির সঙ্গে প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন। অবশ্যই সপ্তাহে একটি দিন নিজের পছন্দের খাবার উপভোগের জন্য রাখতে হবে তবে খাবারের পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে।