তিন কবিতা
ভূত নাকি খুব শক্ত
কেউ বলে ভূত দেখছি চোখে আম কিবা জাম গাছে
মোটা-চিকন,লম্বা-খাটো ভূত যে অনেক আছে ।
কেউবা বলে ভূতে কিন্তু খুব লাফিয়ে চলে
ভূত নিয়ে ভাই কত মানুষ কত কথা বলে ।
চেহারাটা কালো ভূতের সাদা পোশাক পরে
কেউ বলে ভূত গভীর রাতে আসে নাকি ঘরে ।
পানিতে ভূত হাঁটতে পারে শিং যে মাথায় আছে
কপালে তার চোখ দেখা যায় ইচ্ছে হলেই নাচে ।
কী ভয়ানক! নাকটা বিশাল খিলখিলিয়ে হাসে
কেউ বলে তার মাথা কাটা হাওয়ায় নাকি ভাসে ।
ভূতের দাঁতে রক্ত মাখা গল্প করে লোকে
হাত-পায়ের নখ বড় বড় আগুন জ্বলে চোখে ।
কেউ বলে ভূত যায়না ধরা ঘোমটা দিয়ে থাকে
বেশি রাতে উঁকি মারে বাঁশবাগানের ফাঁকে ।
গায়ে অনেক কাঁটা আছে ভূত নাকি খুব শক্ত
কেউ বলে ভাই ভূতে নাকি খায় মানুষের রক্ত ।
পাখির মেলা
মনে সুখের আলো
কী চমৎকার পাখির মেলা!
লাগে ভীষণ ভালো ।
নীল আকাশে উড়ছে পাখি
কিংবা গাছে গাছে
রং- বেরঙের পাখিগুলো
চারদিকে আছে ।
পাখিদের খুব কিচিরমিচির
শুনি যখন কানে
সকল কষ্ট বিদায় হয়ে
শান্তি জাগে প্ৰাণে ।
প্রভাত বেলা মধুর সুরে
পাখিরা যে ডাকে
তিড়িং বিড়িং নাচে তারা
গাছের শাঁখে শাঁখে ।
মনের সুখে বসায় মেলা
ওই যে ফুলের বনে
আমিও ভাই সখ্য গড়ি
পাখিদেরই সনে ।
এই যে মাটি
আমার দেশের এই যে মাটি
অনেক অনেক দামি
এই মাটিতে জন্ম নিয়ে
গর্ব করি আমি ।
বাংলা মায়ের কোলে থাকি
অনেক ভালো লাগে
কাদামাটির ঘ্রাণে আমার
সুখ যে মনে জাগে ।
এই মাটিতে থাকা যে হয়
সুখে কিবা দুঃখে
জীবন আমার ভালোই কাটে
এই যে মাটির বুকে ।
এই মাটিতে ফসল পেয়ে
কৃষক সুখে হাসে
মাতৃভূমির এই যে মাটি
সবাই ভালোবাসে ।
এই যে মাটি অনেক খাঁটি
বেঁচে থাকার শক্তি
মনে প্রাণে এই মাটিকে
করি অনেক ভক্তি ।