রহস্যময়ী বনলতা সেন
জীবনানন্দ তুমি বহমান এই বাংলার পরে,
বনলতা সেন তারচেয়ে বেশি সমস্ত আপামরে!
কত উপমায় তুলে আনো দেখি সেই বনলতা সেন,
স্রষ্টার থেকে সৃষ্টির খ্যাতি করে ঢের লেনদেন!
রোদ- বৃষ্টিতে আলো ও আঁধারে হেঁটে অশোকের দেশে,
বলেছো ফিরবে ধানসিড়িটির তীরে শালিকের বেশে!
হামাগুড়ি দিয়ে শিশুর মতন ভূঁয়ের চাপাটি চুমি,
রূপসী বাংলা রূপায়িত করো কত বিশেষণে তুমি!
উড়ে যাবে তুমি সুদর্শনের বেশেই গোধূলি বেলা,
ভোরের কাক ও কোকিলের সুরে করবে হাজারো খেলা!
বাঙালী প্রেমিক যুবকেরা বলে রহস্যময়ী কথা,
কত নাম ধরে টেনে আনো তারে সকলেই বনলতা।
যে যাই বলুক বনলতা সেন কবির প্রেমের ছবি,
তাই তো শাঙন দরিয়া হৃদয়ে উথলে উঠিল দ্রবী!
সুরঞ্জনা সবিতা সুভাসি নাটোরের পটভূমি,
বনলতারই আদলতে যেন বেচে নিয়েছিলে তুমি।
যিনি অনুভব করেন বিশ্ব বাংলার পরে বসে,
বনলতা সেন এমনকি তবে কথা পড়বে না খসে?
তুমিই চিত্র রূপময় কবি আঁকো প্রকৃতির রূপ,
বনলতা সেন কল্প মানসী তাই তুমি !