Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইফতারের অভ্যাস হোক স্বাস্থ্যকর

সূর্য্য ডুববে আর কিছুক্ষণ পর। পরিবারের সকলেই একসাথে জড়ো হয়ে বসে আছে। প্রতীক্ষা আজানের কিন্তু কোনো তারাহুড়ো নেই। বরং পরিতৃপ্তির আভাস সকলের মুখে। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ইফতারের আগের সময়টা সুখের। আবার কেউ থাকেন তাড়াহুড়োয়। রাস্তায় কোনোভাবে ইফতারের সুযোগ খুঁজতেই অনেকে ব্যস্ত। ইফতার যেখানেই হোক, পদগুলো হওয়া উচিত স্বাস্থ্যকর। নির্দিষ্ট একটি খাবার খেলে হয়তো বিরক্তি আসতে পারে। তাই খাদ্যাভ্যাসে আনতে হবী পরিবর্তন।

আলুর চপ, বেগুনী আর ছোলা ভাজার বদলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরী। খাদ্যাভ্যাস হয়তো এক মাসের জন্যে নির্ধারিত তবে তা দীর্ঘমেয়াদেও আপনার উপকারে আসতে পারে। ইফতারের সময় এ কটি টিপস মেনে চললে স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকে অনেকটা রেহাই মিলবে আশা করা যায়ঃ

ইফতার দেরিতে করবেন না

প্রতীক্ষার বিষয়টি ইফতারের আগে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাই ইফতার দেরিতে করবেন না। অনেকে শুধু রোজা ভেঙেই সন্তুষ্ট থাকেন। হ্যা, ব্যস্ততার জন্যে হয়তো ইফতার করার সুযোগ পান না। কিন্তু শুধু পানি খেয়েই রোজা ভাঙবেন না। দীর্ঘক্ষণ খাবার না খেলে শরীরের নানা ক্ষতি হয়। বিশেষত এই গরমে আপনার দেহ থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর খনিজ পদার্থ নির্গত হয়। তাই শরীর দূর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই ইফতার দেরিতে করবেন না।

রোজা ভাঙুন তরল পানীয় দিয়ে

রোজা ভাঙবেন কোনো তরল দিয়ে। রমজানে ডিহাইড্রেশন শারিরীক সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ। তাই রোজা ভাঙুন পানী জাতীয় কিছু দিয়ে। পানির সাথে একটি খেঁজুর খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকে তাৎক্ষনিক মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে হ্যা, অনেকে ইফতারের সময় কোক বা সফট ড্রিংকসের আয়োজন করেন। কোক বা ফান্টা এড়িয়ে চলবেন। বরং ফলের শরবত, বা লেবুর পানির আয়োজন করুন।

ভাজাপোড়ার বদলে ফল

সারাদিন না খাওয়ার পর ভারি এবং মিষ্টি খাবারের খোঁজ করাতাই স্বাভাবিক। তবে প্রিজারভেটিভ বা চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। বরং ইফতারে ফাইবার সমৃদ্ধ ফল যেমন খেঁজুর, আপেল, কমলা, বাঙ্গি এসব খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফলে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। তাই রমজানে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা খুব কঠিন হবেনা।

ভারি খাবারের ক্ষেত্রে স্যুপ

ইফতারে স্যুপ আইটেম খাওয়াটা ভালো। সারাদিন না খাওয়ার ফলে হুট করে তেলেভাজা বদহজমের সমস্যা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে গরম স্যুপ পেটের জন্যেও সহায়ক এবং একই সময়ে হাইড্রেশনের জোগান দেয়। ঘরে বানানো হালিম একটি ভালো ইফতার আইটেম। তবে সবজি দিয়ে হালকা মশলার স্যুপ ইফতারের সেরা খাবার হতে পারে।

শর্করা জাতীয় খাবারে জোর দিন

অনেকেই ভাবেন রমজানে শর্করাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই স্বাস্থ্যকর। ব্যাপারটি আদপেও এমন না। দেহে তাপশক্তির জোগানে শর্করা জরুরী। তাই ইফতারে রুটি, পাস্তা, নুডলস কিংবা আলু জাতীয় খাবার রাখা ভালো। তবে একদম ভরপেট খাওয়াটা মোটেও ঠিক না।

অনন্যা/জেএজে

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ