হেমন্তিকা ফুল
অভিমানী দোয়েলের স্বপ্ন আজ বেগানা বাগানে
পেয়ারাগাছের ডালে খড়কুটোর দালানে নিরুচ্চার
বোবা কান্না পুঁথিপাঠ করে। আমার ছাদ-বাগানের
সংকুচিত পৃথিবীটা বুক চাপড়িয়ে চিৎকার করে
হায়, দোয়েল আমার! সাদাকালো দোয়েল আমার!
বারান্দায় দাঁড়ালেই নিঃসঙ্গ দুপুর পাশে দাঁড়ায়
তার মনকাড়া শিসের সুরেলা শব্দতরঙ্গ সমুদ্রের
ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ে আমার পাটভাঙা
বুকের পাঁজরে। মনের টিমটিমে মুমূর্ষ মোমবাতির
নিঃশ্বাস বন্ধ প্রায় খেয়ালি বাতাসের বেসুরো হাঁকে।
তবুও অনুভবে দোয়েলের শিস আজও সুগন্ধ ছড়ায়
সুগন্ধের পাখায় ওড়ে রাতের আকাশে কষ্টভেলায়
ভাসি। সকালে হেমন্তের প্রান্তরে সবুজের ডগায় ডগায়
কষ্টগুলো সুখের হেমন্তিকাফুল হয়ে হাতছানি দেয়।
এ কষ্ট উদযাপনে আছে এক ভিনদেশি সুখ-
যার অনুভূতি প্রকাশের কোন শব্দ অভিধানে নেই।