লড়াই
জীবনের ইতিহাস আজ গতিহীন
স্থবির বে-রঙিন।
পেটের ইচ্ছের লড়াই লড়ছে
তোমার সিংহদ্বারে আমার বিবেক থমকে গেছে।
নীরবতার অভুক্ত গন্ধে,
আমাকে মৃত্যুর প্রলেপে আটকেছো কেন বারে বারে?
সে যন্ত্রণা কি খাদ্যের অহংকারে
ইচ্ছে পাখি তুমি কি এখনো অচিন-পুরে?
একদিন বদ্ধ দুয়ারে আটকে রেখে,
অভুক্ত কারাগারে যন্ত্রণা মারতে চেয়েছিলে।
আজও সেই লড়াইটা চলছে
একদিন উন্মেষের জাগরণে সে জ্বলে উঠবে,
সেদিন হয়তো তাকে তুমি বুঝবে!
বহ্নিশিখাকে কেন মারতে চেয়েছিলে?
আজ সে সবল,
একটা শক্ত প্রাচীর তৈরি করেছে!
যেখানে তোমার শক্তবাহু ক্ষমতা নড়বড়ে
নতুন রূপে তাঁর জন্ম যে হয়েছে!
স্মৃতির আবছায়া অবগুণ্ঠনে ধুঁকে ধুঁকে বেড়েছে,
মৃত বহ্নি একদিন আগুনের ফসফরাসের মতো জ্বলে উঠবে
সেদিন কি শক্ত প্রাচীর থাকবে?
বহ্নির দগ দগে প্রলয় বিনাশে,
তোমার মিথ্যাচারী মুখটা টেনে বের করবে!
সেদিন তোমার বিস্ময় ভরা চোখ
তোমাকে বার বার প্রশ্ন করবে?