পাখির বর্ণ
পাখির বর্ণ চেনা এতো সহজ কাজ নয়
মানুষের বর্ণ কী মানুষ, এতো সহজে চিনে যায়
শিখে যায়।
বর্ণের ভেতর চেনা স্রোত থাকে, অচেনা স্রোত থাকে
চোরাস্রোত থাকে
বর্ণচোরা ছাড়া, বাকিরা সব মিলিয়ে আসে
ফ্যাকাসে, মিলিয়ে যায়।
বর্ণ চেনার সাথে স্রোতকেও তাই শেখা চায়
কীভাবে মানুষ জননে-প্রজননে-অভিযোজনে পাল্টায়
পাল্টাতে গিয়ে খোঁচা খায়
খোঁচা খেয়ে ব্যথা পেতে পেতে,আগুনে ঝলসায়।
বর্ণের সুগন্ধ থাকে, বর্ণের দুর্গন্ধ থাকে
দিন যায়, রাত যায়, যায় যায়, যায় না
কখনো কখনো ঘুম ভাঙে পাখির ডাকে
অচৈতন্যে রং চৈতন্যে মিলায়।
পাখিও মানুষকে ডাকে, মানুষও পাখিকে ডাকে
এভাবেই হয়, বোধোদয়, বর্ণপরিচয়।