ভাঙাচোরা মানুষের লেখা
ভাঙাচোরা মানুষের লেখালেখি চিরকালই ভাঙা ভাঙা হয়
যে জীবন স্থিতিশীল
যে জীবন দুরন্ত, গতিশীল
একটার পর একটা বাড়ি তৈরি করে চলে
বাড়ি তুলতে তুলতে আকাশ ছোঁয়া প্রাসাদ তাক লাগিয়ে দেয়।
বাজারে দু'চার আঁটি কচি নিমপাতা,
ডুমুর আর ছোট ছোট বেগুন নিয়ে বুড়িটা এক কোণে বসে থাকে
বড় বড় বেগুন পাল্লার পর পাল্লা বিক্রি হয়
এই বেগুনে অনেক কৃত্রিম সার থাকে, পোকা মারার ওষুধ থাকে
বুড়ির উঠোনে বেগুনে পোকা ধরে যায়
বুড়ির কাছে খুব একটা কেউ আসে না।
রংবাজারে ভাঙাচোড়া মানুষের সাদা পাতা দিনে দিনে ফিকে হয়ে আসে
কেউ বলতেই পারেন, মানুষটাই যখন ভাঙা তবে লেখালেখি করার দরকারটাই বা কি
লেখালেখিটা উঁহু বাবা! এতো সহজ জিনিস তো নয়!
তাদের বেঁচে থাকার অনেক আল্হাদ আনন্দ আছে
মাথার ওপর অনেক ঈশ্বর আছে
জীবনের সমস্ত রং রূপ রস শুষে নিতে পারে
তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে পারে
ভাঙাচোরা মানুষের কাছে ওই লেখাটায় বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।