Skip to content

ভ্রমণপিপাসু নারীদের অনুপ্রেরণা, সাবরিনা মেহরীন! 

ভ্রমণপিপাসু নারীদের অনুপ্রেরণা, সাবরিনা মেহরীন! 

সাবরিনা মেহরীন। নারী হয়েও অদৃশ্য কোনো শেকল পরে বসে থাকেনি ঘরের কোনে। একা একা চষে বেড়িয়েছেন পুরো বিশ্ব। দিনশেষে আবার ভেবেছেন একাই কেন বিশ্ব ভ্রমণ করবেন তিনি।  তাই তো ভ্রমণ পিপাসু নারীদের জন্য তৈরী করেছে একটি প্ল্যাটফর্ম।

 

 

ছোটবেলা থেকেই তিনি ঘুরতে পছন্দ করতেন। মূলত তার বাবা-মাও ঘুরতেন প্রচুর। তিনি জীবনের বড় একটা সময় পাহাড়ি এলাকায় কাটিয়েছেন। তখন থেকেই তার ইচ্ছা জাগে পুরো পৃথিবী ঘুরে দেখার । যে ইচ্ছে তার জীবনে ধীরে ধীরে এক নেশায় পরিণত হয়। 

 

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়ই বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পান তিনি এবং চারটি মহাদেশ ঘুরে ফেলেন তখনই। পড়াশোনা শেষে শুরু হল চাকরি জীবন।  আর তখনই বাধ সাধলো নানা বিপত্তি।  বাসা থেকে সম্মতি আদায় করা, বন্ধুদের সঙ্গে সময় মিল করানো, বাজেট মিল করানো, সঠিক তথ্য পাওয়া ইত্যাদি নিয়ে নানান সমস্যা দেখা যায়।

 

এরপরই  তিনি ভাবেন একটা প্লাটফর্ম তৈরি করার কথা। এবং তৈরী করেন 'ওয়ান্ডার উইমেন' নামের একটি প্রতিষ্ঠান। নারীদের ভ্রমণের সহায়ক হয়ে ওঠার চেষ্টা করে এই ওয়ান্ডার উইমেন। দেশের প্রচলিত স্থানগুলো ছাড়াও তারা আন্তর্জাতিক ভ্রমণেরও আয়োজন করেন। তাদের প্ল্যাটফরম থেকে প্রায় ১ হাজার নারী ভ্রমণ করেছেন। প্রতি বছর তারা ঢাকার আশপাশে কোথাও একত্রিত হয়ে থাকেন।

 

এপর্যন্ত বহু অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন সাবিরা। সর্বশেষ ২০২০ সালে পেয়েছেন ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড। তিনি এ পর্যন্ত যত অ্যাওয়ার্ড  জিতেছেন তার মধ্যে  ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড তার কাছে বিশেষ একটি পাওয়া।  সবসময়ই তিনি তার মা ও প্রিন্সেস ডায়ানার ভক্ত ছিলেন। ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড তার এগিয়ে যাওয়ার গতিকে আরো বেগবান করবে বলে তিনি মনে করেন। 

 

 

 

 

শুধু তাই নয়, ধর্ষণ সমস্যা বাংলাদেশে বড় একটা মহামারি হয়ে দাঁড়িয়েছে । তাই ওয়ান্ডার উইমেন মেয়েদের ফ্রিতে আত্মরক্ষা কর্মশালা করিয়ে থাকে। এতে প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি নারী অংশ নিয়েছেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নিজেকে দেখতে চান তিনি। ট্যুরিজমের পাশাপাশি তিনি নতুন উদ্যোগ, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও কাজ করতে চান। সর্বোপরি নারীদের জন্য, নারীদের নিয়ে কাজ করে যেতে চান তিনি।

 

 

১১ বছর আগে তিনি মাকে হারিয়েছেন। কিন্তু মা-ই তার এতদূর আসার অনুপ্রেরণা। মা তাকে অনেক বড় হওয়ার সাহস জুগিয়েছেন, পথ দেখিয়েছেন। তিনি চান মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে, 
অন্য নারীদের জন্য আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠতে৷