মানুষ কেন প্রেমে পড়ে!
প্রেম। একটি অনুভূতি। নানা কারণে মানুষের এই উন্মাদনা। কিছুদিনের পরিচয়েই একে অন্যকে অনুভব করে৷ ভালোবাসে। ভালোবাসার মানুষের প্রতি আবেগ ফুটে উঠে।
চলছে ফাল্গুন মৌসুম। এই মৌসুমে মানেই যেন প্রেম-ভালোবাসা। জীবনে প্রত্যেকটি মানুষ কোন না কোনোভাবে একে অন্যের প্রতি আকর্ষিত হয়। প্রেমে পড়ে। জীবনে কখনো প্রেমে পড়ে নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
মানুষ প্রেমে পড়ে, ভালোবাসে। একেকজন আবার একাধিকার প্রেমে পড়েন। অনেকে আবার মনের অজান্তেই প্রেমে পড়েন।
কিন্তু কেন এই প্রেম? কেনই বা মানুষ প্রেমে পড়ে? এর পেছনে রয়েছে অনেক বৈজ্ঞানিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণ।
জৈবিক নানা কারণে একজনের প্রতি অপরজনের আকর্ষণ তীব্র হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম চেহারা। রূপের চেয়েও শরীরের গঠন, উচ্চতা, পেশীবহুল চেহারা এসব মানুষের হাইপোথ্যালামাসে ভালোলাগার বার্তা পৌঁছায়। তখনই ডোপামিন হরমোন মস্তিষ্কে প্রেমের বার্তা পৌঁছায়।
ক্লেটন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, প্রেম বা সম্পর্কে এগোনোর ক্ষেত্রে শারীরিক চাহিদা ও মিলন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পরিস্থিতি গত কারণে দুজন মানুষ যদি দুজনের প্রতি সম্মানসহ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন, তবে তা পিটুইটারি গ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে মানসিক আকর্ষণেরও জন্ম দেয়।
কিন্তু মেডিকেল সায়েন্স এই ব্যাপারটার পেছনে মূলত ৩টি হরমোনের কথাই বলছে। সেগুলো হল- টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন আর প্রজেস্টেরন। বয়ঃসন্ধিকালে উপরোক্ত ৩টি হরমোন বৃদ্ধি পায়, যার ফলস্বরূপ
পিউবার্টি বা বয়ঃসন্ধির সময়টাতেই কিশোর-কিশোরীরা সবচেয়ে বেশি প্রেমে পড়ে। এছাড়াও তখন তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয় না। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বয়ঃসন্ধিতেই ছেলেমেয়েরা সবচেয়ে বেশি ভুল করে৷
এছাড়া কোন মানুষের সঙ্গে তীব্র বিবাদ বা লাগাতার ছোটখাটো বিষয়ে সমস্যা থেকেও প্রেমে পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। বরং এইসব খিটিমিটি কখনো কখনো ডোপামিনকে উত্তেজিত করে। তাই ঝগড়ার মানুষটার প্রতিও কোথাও মায়া কাজ করে৷ প্রেমে পড়ে৷
আর তাই কখন কাকে কিভাবে ভালো লেগে যায় বলা মুশকিল। আর কারণ ছাড়াই একে অন্যকে ভালোবেসে ফেলে৷ এইজন্য ভালোবাসার কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।