একইদিনে কড়া নাড়ল ভালোবাসা ও ফাল্গুন!
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আর ঠিক তার আগের দিন প্রকৃতিতে আগমনে ঘটে ঋতুরাজ বসন্তের। কিন্তু এবছর বসন্ত এলো একদিন দেরী করে, ভালোবাসার দিনে।
বাংলা বর্ষপঞ্জিতে সংশোধনের কারণে এখন থেকে বাংলা ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবস একইদিনে পড়বে। বাংলা একাডেমীর গবেষণা, সংকলন এবং অভিধান ও বিশ্বকোষ বিভাগের পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরের মতো ঐতিহাসিক দিবসগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে সংশোধন আনা হয়েছে।
ঘটনা যাই হোক, ভালোবাসা দিবসেই বসন্তের আগমন । এ যেন উপরি পাওনা। একই দিনে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস বাঙালির মনে উচ্ছ্বাস আরো কয়েকগুণ বাড়ি দিয়েছে। শুধু তরুণ-তরুণী নয়, নানা বয়সের মানুষই একসঙ্গে উৎসবমুখর এই দিনটি পালন করছেন।
লাল,নীল,হলুদসহ নানান রঙবেরঙের পোশাক ও সাজসজ্জায় রঙিন হয়ে উঠেছেন সকলে।
ভ্যালেন্টাইনস ডের প্রচলন পশ্চিমের দুনিয়ায়, বহু আগে। বাংলাদেশেও এর হাওয়া এসে লেগেছে বহুদিন হল। তবে আজ তা বাঙালির বসন্ত উৎসবের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ফাগুনের মাতাল হাওয়ায় প্রেম ভালোবাসায় মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে তরুণ প্রজন্ম। শুধু তরুণ-তরুণী নয়, আজ সব বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশ পাবে।
দিনটিকে ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। যদিও করোনাকালীন সময়ে রয়েছে নানান বিধিনিষেধ। কিন্তু আনন্দপ্রিয় বাঙালিকে এমন দিনে ঘরবন্দী রাখা যে সম্ভব না, রাস্তায় বের হলেই বোঝা যাচ্ছে। আর সম্ভব হবেই বা কি করে? আজ তো বাঙালির আনন্দ দ্বিগুণ, তাই উৎসবের আমেজও বরাবরের তুলনায় দ্বিগুণ।