রূপচর্চায় গরম পানির সুফল!
শীত আসলেই গরম পানি ব্যবহারের ধুম পড়ে যায়। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে ব্যবহার করেন গরম পানি। কিন্তু এই গরম পানিই আবার ব্যবহৃত হতে পারে ত্বক ও চুলের যত্নে। তবে অবশ্যই তাপমাত্রা হতে হবে সঠিক।
এক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট রাখাই ভালো। এছাড়াও যুক্ত করতে কিছু নিয়ম তবেই পাওয়া সম্ভব গরম পানির সুফল। গরম পানির সঙ্গে তেল এবং অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে নিলে গরম পানির থেকে উপকৃত হওয়া সম্ভব। ত্বকের ও চুলের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে এ পন্থা। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কিভাবে গরম পানিকে কাজে লাগানো সম্ভব চুল ও ত্বকের যত্নে:
– নারকেল তেলের সঙ্গে ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে বোতলে রাখতে পারেন। এবং প্রতিদিন গোসলের সময় ঝাঁকিয়ে গরম পানিতে ২–৩ ফোঁটা মিশিয়ে নিতে পারেন। এটা ত্বক ও চুল—দুইয়েরই রুক্ষতা কমাবে ও আর্দ্রতা ঠিক রাখবে।
– শ্যাম্পু করার আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারেন। এরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করে একই পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিতে পারেন। শেষে কন্ডিশনার ব্যবহারের পর স্বাভাবিক পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুলের যত্নে এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত উপকারী।
– গোলাপ বা গাঁদা ফুলের পাপড়ি লবণ পানিতে ধুয়ে নিয়ে নারকেল তেলে ফুলের পাপড়িগুলো জ্বাল দিয়ে রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে পারেন । এরপর গোসলের আগে হালকা গরম পানিতে এই তেলের কয়েক ফোঁটা দিয়ে নিলে শীতেও ত্বক ও চুল থাকবে আর্দ্র।
– অবশ্যই গরম পানি দিয়ে গোসলের পর ত্বক ভেজা থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার, নারকেল বা জলপাই তেল ব্যবহার করা উচিত। এতে করে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ফিরে আসে।