পিরিয়ড চলাকালে যেসব খাবার খাবেন
পিরিয়ড বা মেন্সট্রুয়েশন সাইকেল নারীদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রতি মাসের নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের শরীর থেকে যে পরিমাণ ব্লাড বেরিয়ে যায়, তাতে শরীরে ঘাটতি তো দেখাই দেয়। আর এই ঘাটতি পূরণে দরকার প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ। এছাড়াও এসময়ে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন:
তলপেটের অতিরিক্ত ব্যথা, খিটখিটে মেজাজ, মাথা ঘুরানো, এসিডিটি, মুখের অরুচি, বমি বমি ভাব, অস্বস্তিবোধ ইত্যাদি ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। অনেকের আবার নিয়মিত পিরিয়ড হয় না। অনিয়মিত পিরিয়ড বা একেবারেই পিরিয়ড বন্ধ হওয়া পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (POS) এর জন্য হয়ে থাকে। তাই এসব সমস্যা মাথায় রেখে পিরিয়ডের সময় এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত যা গ্রহণে শরীর সম্পূর্ণভাবে সুস্থ ও সতেজ থাকবে। নিয়মিত পিরিয়ড হলে শরীরের হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক থাকে।
পিরিয়ডের সময় যেসব খাবার খাবেন:
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে সতেজ ও ঠাণ্ডা করে এবং মেজাজ ঠাণ্ডা করে তাই এটি পিরিয়ডের সময় খাওয়া ভালো।
গ্রিন টি
গ্রিন টি এক প্রকারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি পিরিয়ডের ব্যথাও কমায়।
লেবু
লেবুতে ভিটামিন সি আছে। লেবুর শরবত বা তরকারিতে লেবু দিয়ে খাবার পিরিয়ডের সময় খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
কলা
কলাতে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি আছে, যা খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে এনার্জি আসে। শরীরের রক্তক্ষরণের জন্য শরীর কয়েকদিন দুর্বল থাকে। তাই এই সময়ে কলা একটি ভালো পুষ্টিকর খাবার৷
আদা ও দারুচিনি চা
দুধ চায়ের বদলে আদা ও দারুচিনি দিয়ে চা খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়।
আনারস
অনিয়মিত পিরিয়ড হলে আনারস খেলে আশা করি পিরিয়ড নিয়মিত হবে।
চিটাগুড়
চিটাগুড় লাল চা বা মুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হবে এবং দেহে লৌহ ও জিংকের পরিমাণ পরিমিত থাকে।
কাঁচা পেঁপে
কাঁচা পেঁপে নিয়মিত পিরিয়ড হওয়াতে সাহায্য করে এবং পিরিয়ডের ফ্লো ভালো হয়।
হলুদ গুঁড়া
পিরিয়ডের সময় হলুদ খাওয়া ভাল। এটি পাতলা দুধের সঙ্গে পান করতে হয়।
ধনেপাতা
ধনেপাতা বা পার্সলিপাতা ভর্তা অনিয়মিত পিরিয়ডকে নিয়মিত হওয়াতে সাহায্য করে।
অন্যান্য খাবারের মধ্যে বাদাম, কাঠবাদাম, রঙিন ও সবুজ শাক-সবজি, আনার, অ্যালোভেরা, গাজর ইত্যাদি খাবার পিরিয়ডের সময় গুরুত্বপূর্ণ।