Skip to content

ওজন কমাতে ওয়াটার থেরাপি

ওজন কমাতে ওয়াটার থেরাপি

ওজন একটু বেড়ে গেলেই যেন মনের উপর এক ধরনের চাপ পড়ে। কেননা ফিটনেস সবার কাছেই গুরুত্বের একটা জায়গা। তাই বাড়তি ওজন কমানো নিয়ে অনেকেই  ভোগেন বাড়তি চিন্তায়। কেউ কেউ নিয়মিত ব্যায়াম, ডায়েট মেনে চলেন। তবে এবারে আমরা জানবো জাপানের একটি পানীয় সম্পর্কে, যা শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে আপনাকে ফিট সুন্দর হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। এই পানীয়টি জাপানের  নাগরিকদের কাছে ওজন কমানোর থেরাপি হিসেবে বেশ পরিচিত। আসুন তবে জেনে নেই এই পানীয় সম্পর্কে। 

 

সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটেই এক গ্লাস নরমাল ঠাণ্ডা পানি পান করতে হবে। পানি পান করার কমপক্ষে ৪৫ মিনিট পরে সকালের নাস্তা করতে হবে। 

 

যেকোনো খাবার খেতে হবে মাত্র ১৫ মিনিটে। আর একবার খাওয়ার পরে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা পরে নতুন কিছু খেতে অথবা পান করতে হবে। 

 

জাপানের চিকিৎসাশাস্ত্রে এ থেরাপির সময়সাপেক্ষতাও রয়েছে যেমন কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্য ১০ দিন, উচ্চ রক্তচাপের জন্য, ৩০ দিন, ডায়াবেটিসের জন্য ৩০ দিন, ক্যান্সারের জন্য ১৮০ দিন। তবে ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসে এর কার্যকারিতা এখনও পরিষ্কার নয়। 

 

মাথায় রাখতে হবে এই থেরাপি চলাকালীন কোনভাবেই ঠাণ্ডা পানি পান করা যাবে না। পানি ওজন কমাক আর না কমাক, সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই শরীরের জন্য পরিমিত পানি পান করতে হবে। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে, হজম শক্তি বাড়াতে, এবং শরীরের মেটাবোলিজম সক্রিয় রাখতে পানির বিকল্প নেই। 

 

তাই সুস্থ  থাকতে এই ওয়াটার থেরাপি কাজ করতে পারে ঔষধের মত। 

 

তবে ভালো হয় এই থেরাপি অনুসরণ করার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে। কারণ অনেকেরেই শারীরিক অসুস্থতা বা কোন ওষুধ সেবনের জন্যও ভারী অনুভূত হয়। তাই তাদের ক্ষেত্রে কোনভাবেই এই ওয়াটার থেরাপি প্রয়োগ করা যাবেনা।