পরিবারেও নির্যাতিত নারী!
বাংলাদেশে নারী নির্যাতন নতুন কোন ঘটনা নয়। দিনের পর দিন নারী নির্যাতন বেড়েই চলছে। নারীর প্রতি সহিংস আচরণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারীরা। এছাড়াও নারীরা পরিবারিকভাবেও শিকার হচ্ছেন নির্যাতনের। আর বেশিরভাগই নারীরা নির্যাতনের শিকার হন তাদের স্বামীদের দ্বারা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে দেশের বিবাহিত নারীদের ৮৭ শতাংশই স্বামীদের মাধ্যমে কোন না কোন সময় নির্যাতনের শিকার হয়। স্বামীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েও নিজের ঘর সংসার টিকিয়ে রাখতে মুখ বুজে সহ্য করছে নারীরা। যার ফলে পারিবারিক ভাবে নারী নির্যাতন দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্বামীর শত অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করে ভালো থাকার অভিনয় প্রতিনিয়ত করে চলছে। যার ফলে বিষয়টি গুরুতর না হওয়া পর্যন্ত অন্যদের কাছে তা অজানায় থেকে যায়। আর তাই পারিবারিক নির্যাতনের খবর খুব একটা আসে না গণমাধ্যমে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য মতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত যৌন হয়রানি ও পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে প্রায় ১২০৪ জন নারী। যেখানে ২০১৯ সালে ১৪১৩ ও ২০১৮ সালে ৭৩২ জন নারী নির্যাতনের শিকার হন।
এছাড়াও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক জরিপ বলছে, ২০২০ সালের শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই প্রায় ৪২৪৯ জন নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। যার মধ্যে ৮৪৮ জন শারীরিক নির্যাতন, ১৩০৮ জন অর্থনৈতিক নির্যাতন ও ২০০০ জন নারী মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও প্রায় ৩৩ টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটে। উপরোক্ত পরিসংখ্যানই বলে দেয় দিন দিন কতোটা পারিবারিক ভাবে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে।