ভ্রমণের সুরক্ষায় ব্যাগপ্যাকিং!
ভ্রমণ একটি নেশার মতো। কিন্তু করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার সময়ে সব কিছু লকডাউন থাকায় ভ্রমণও ছিলো বন্ধ। লকডাউন খুলে সীমিত আকারে অফিস-আদালত খুলে দিলে মনে সাহস নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকে। প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে ছুটতে শুরু করেন বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে।
কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব থাকায় ভ্রমণের ব্যাগ গোছানোয় আনতে হবে সামান্য ভিন্নতা। এ বছর ঘোরাঘুরির ওপর আছে নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কতা। ভ্রমণের এ সময় কিছু জিনিস সঙ্গে রাখলে সময়ে–অসময়ে সহায়তা মিলবে। এবছর ভ্রমণের ব্যাগ প্যাক করোনার কথা বিবেচনা করেই প্রস্তুত করা ভালো হবে।
এ সময়ের সবচেয়ে দরকারি তিনটি জিনিস—মাস্ক, স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক স্প্রে। সম্ভব হলে মুখের ওপরে পরার শিল্ড আর গ্লাভসও সঙ্গে রাখতে পারেন। এ জিনিসগুলো হাতের নাগালের মধ্যে থাকলে সুরক্ষিত বোধ করবেন সব সময়। ব্যাগে দরকারি ওষুধ ও ফাস্ট এইডের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ছোট একটি ব্যাগে আলাদাভাবে এবং একটু ওপরের দিকে রাখতে পারেন। প্রয়োজনের সময় পুরো ব্যাগে খুঁজে বেড়াতে হবে না।
ভ্রমণ যে কয়েক দিনের জন্যই হোক না কেন, কিছু প্রসাধন-সামগ্রী নিজের সঙ্গে রাখবেন। ছোট বোতলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার, ক্লিপ, রাবার ব্যান্ড, সেফটিপিন, ৫০ এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন ক্রিম, সানগ্লাস, কাজল, ফ্ল্যাট ব্রাশ, লিপস্টিক, ব্লাশন, কনসিলার, কমপ্যাক্ট পাউডার, লিপলাইনার ও মাসকারা , ত্বক পরিষ্কারের জন্য ফেসওয়াশ ও ওয়াইপস রাখার চেষ্টা করুন। চাইলে ছাতাও রাখতে পারেন।
সুঁই-সুতা আর বোতামের ছোট একটি বাক্সও আপনার কাজে লাগতে পারে । এ ছাড়া নেইলকাটারের পুরো সেটটিও ব্যাগে রাখতে পারেন । নখ ভেঙে গেলে যেমন কেটে ফলতে পারবেন, তেমনি নেইলকাটার বাক্সে থাকা টুইজার দিয়ে চোখের ওপর থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত লোমও তুলে ফেলতে পারবেন। চুল ধোয়ার পর ব্রাশ দিয়ে কয়েকবার চুল আঁচড়িয়ে নেবেন। তাহলে চুল অবাধ্য হবে না।
অতিরিক্ত ঘোরাঘুরির কারণে অনেক সময় ত্বকের ওপর চাপ পড়ে যায়। সেটা প্রকাশও পেয়ে যায়। চোখের নিচে ত্বকের চেয়ে এক শেড গাঢ় কনসিলার লাগাতে পারেন। এতে ফোলা ভাব কমে যাবে। এরপর হালকা শেডের কনসিলার লাগান। এর ওপর কমপ্যাক্ট পাউডার দিলেই সতেজ লাগবে দেখতে।
তবে ঘুরাঘুরির সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।