ফুসফুসে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ
প্রাথমিক অবস্থায় করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায়। এই লক্ষণগুলো একেক মানুষের শরীরে একেক ধরনের হয়ে থাকে। করোনা যদি তীব্র আকার ধারণ করলে ভাইরাস তখন ফুসফুসে সংক্রমণ করে, যা পরবর্তীতে ভয়ানক রূপ নিতে পারে। এমনকি রোগীকে মৃত্যুও হতে পারে। তাই ফুসফুস সংক্রমণের লক্ষণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
করোনার কারণে ফুসফুসে সংক্রমণ খুব বড় একটি সমস্যা। দীর্ঘদিনের ফুসফুসের সংক্রমণ নিউমোনিয়া তৈরি করে, যা পরবর্তী সময়ে মৃত্যুর কারণ হয়। জন হপকিন্সের প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে দেখা যায়, করোনার প্রাথমিক লক্ষণে বোঝা যাবে অসুস্থতার ধরন। অর্থাৎ করোনার লক্ষণ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।
দীর্ঘদিনের কাশি
করোনার প্রধান লক্ষণের একটি হলো শুকনো কফ। তবে এই শুকনো কাশি যদি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেও ঠিক না হয়, তবে তা চিন্তার বিষয়। এত দিন কাশি থাকার অর্থ হলো তা ফুসফুসেও সংক্রমণ হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট
অক্সিজেন যখন ফুসফুসে পৌঁছতে পারে না, তখন শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। করোনা যাদের মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করে, তাদের শ্বাসকষ্ট হয়, বুকে চাপ অনুভূত হয়। অনেকের করোনা সেরে যাওয়ার পর শ্বাসকষ্ট হয় তাদের ফুসফুসে সংক্রমণের যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে।
বুকে ব্যথা
বুকে ব্যথা হওয়া ফুসফুসে সংক্রমণের অন্যতম একটি লক্ষণ। এতে করে ফুসফুসের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। ব্যথা হালকা হোক বা বেশি হোক তা ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
অন্যান্য অসুস্থতা
বুকে ব্যথা ও ফুসফুসের সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে অন্যান্য অসুস্থতা দেখা দেয়। টিস্যুতে সংক্রমণ হতে পারে । এ থেকে টিস্যুতে স্থায়ী সংক্রমণও দেখা দেয়।
এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়া মাত্রই রোগীর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।