বদির প্রয়াণে ফেসবুকে স্মৃতিচারণ করলেন মুনা
নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'কোথাও কেউ নেই'। যার আকর্ষণীয় চারটি চরিত্র ছিলো বাকের ভাই, মুনা, বদি এবং মজনু। বদি চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েছিলেন অভিনেতা আবদুল কাদের।
গতকাল শনিবার ৮টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পর্দার জনপ্রিয় চরিত্র বদি। ক্যানসার–আক্রান্ত ছিলেন অভিনেতা আবদুল কাদের। বদির প্রয়াণে বিষণ্ণ হয়েছেন মুনা চরিত্রে অভিনয় করা সুবর্ণা মুস্তাফা। বদির মৃত্যুর পর ফেসবুকে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণা করেন তিনি। লিখেছেন, ‘১৯৮৬, ফরীদি এবং আমি ভারতে যাচ্ছিলাম। ফ্লাইট ছিল পরের দিন। আমাদের দরজায় কেউ একজন কড়া নাড়লেন, ইনস্ট্যান্ট ক্যামেরা হাতে কাদের ভাই দাঁড়িয়ে। তিনি সেটি আমাদের দিলেন, ‘ইন্ডিয়া যাবা, সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখবা আর ছবি তুলবা।’ এমনই ছিলেন কাদের ভাই। আমাদের তখন কোনো ক্যামেরা ছিল না…সেটা কাদের ভাই কীভাবে জানলেন, সে ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই। এটি আমার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতিগুলোর একটি। শান্তিতে থাকুন কাদের ভাই। আমরা আপনাকে ভালোবাসি।’
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগেছেন আবদুল কাদের। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইতে যান তিনি। সেখানকার হাসপাতালেই ১৫ ডিসেম্বর ক্যানসার ধরা পড়ে কাদেরের। জানা যায়, ক্যানসার সংক্রমণের চতুর্থ স্তরে পৌঁছে গেছে। ছড়িয়ে পড়েছে সারা শরীরে। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তখন তাঁকে কেমোথেরাপি দেওয়া যায়নি। ফলে ২০ ডিসেম্বর আবদুল কাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফিরেই তাঁকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। আজ শনিবার সকালে সেখানেই মারা যান তিনি।
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ও মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর পরিচালনায় ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে বদি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান আবদুল কাদের। এছাড়াও টিভিনাটক, মঞ্চনাটক ও চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কিছু বিজ্ঞাপন চিত্রেও দেখা গেছে তাঁকে। বিভিন্ন মঞ্চনাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘এখনো ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই’, ‘স্পর্ধা’, ‘দুই বোন’, ‘শিবের গীত’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’ নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন তিনি।