Skip to content

৪ঠা জুন, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বক্সিং ডে: একটি মানবিক উদ্যোগের দিন

বক্সিং শুনলেই কেমন একটা মারামারি গায়েট জোরে ঘুষি মেরে নাকমুখ ফাটিয়ে জিতে যাওয়ার খেলার কথা মনে আসে। তবে কি ভাবছেন বক্সিং ডে মানে কি? বক্সিং খেলা আবিষ্কার বা স্বীকৃতির দিন? না একদমই তা নয়। বক্সিং ডে মানে ইতিহাসে একটি মানবিক উদ্যোগের দিন। 

এইদিনের সাথে জড়িয়ে আছে মানবতার গল্প। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় উৎসব বড়দিনের ঠিক পরদিন অর্থাৎ ২৬ শে ডিসেম্বর বক্সিং ডে হিসেবে পরিচিত। এই দিনে সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন। ভালোবাসা জড়ানো এই উপহার সামগ্রী তারা সুসজ্জিত বাক্সে করে দিয়ে থাকেন। আবার খ্রিষ্টানদের পবিত্র উপাসনালয় চার্চের বাইরেও অর্থ বা অনুদান সংগ্রহের জন্য বাক্স রাখা হয়। প্রার্থনা করতে আসা সহৃদয়বান ব্যক্তিরা সেই বাক্সে অর্থ রেখে যান। বাক্সে করে উপহার বিতরণের এই মানবিক দিনটি বক্সিং ডে হিসেবে পরিচিত। 

তবে বক্সিং ডে টেস্ট নামে বিশ্ব ক্রিকেটে এক উপভোগ্য ক্রিকেট দ্বৈরথও রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এই দিনটি পালিত হয়। ছুটির দিন হিসেব করে এই দিনে বিভিন্ন খেলার আয়োজন করে তারা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে মানবতার মহতী কাজের জন্য এই বক্সিং ডে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। রানী ভিক্টোরিয়ার আমলে উনিশ শতকে এই দিবসটির সূচনা হয়। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডসহ কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোতে এই দিবসটি পালিত হয়।
 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ