বড় হয়ে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখে সিজদা
সুবহা সাফায়েত সিজদা। ক্লাস টু তে পড়া ছোট্ট সিজদা, যাকে ইতোমধ্যেই দেশে এবং দেশের বাইরে অনেকেই চিনে ফেলেছে। কোভিড -১৯ এ সচেতনতামূলক ভিডিও করে ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেরই মন জয় করে নিয়েছেন এই মিষ্টি মেয়েটা।
বাবা মায়ের আদরের মেয়ে সিজদা। লর্ডস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ছোট্ট সিজদা স্বাস্থ্য বিষয়ে বেশ সচেতনও, নজর রাখেন নিজের চারপাশের পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রতি। করোনা মহামারীর এই সময়ে নিয়মিত সিজদা করোনার আপডেট রাখতেন। রোজ কতজন আক্রান্ত হল, কতজন মারা গেলো, কতজন সুস্থ হল সেসব খবর দেখে সিজদার মনে মানুষকে সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করার আগ্রহ জন্মায়। তারপর ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে অনেকের পছন্দের হয়ে উঠেন। সিজদার এ কাজের প্রতি সম্মান জানাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিজেদের ২৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সম্মাননা তুলে দেয় তার হাতে।
তবে সম্মাননা বা সকলের পছন্দের হয়ে উঠার জন্য এসকল কাজ করতেন না সিজদা, বরং মানুষের ভোগান্তি দেখে খারাপ লাগা তৈরি হয় ছোট্ট সিজদার মনে। সারাজীবন অসহায় ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাড়াতে চান বলে জানায় সিজদা।
বড় হয়ে নিজেকে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে দেখতে চান, হতে চান মোটিভেশনাল স্পিকারও। এমনটাই জানায় সিজদা অনন্যার একটি সাক্ষাৎকারে। নিজের মেধা দিয়ে মানুষের উপকার করতে চান। অসহায় কিংবা ভুক্তভোগী মানুষের জন্য মুক্তির পথ তৈরি করতে চান সিজদা।
সিজদার এসকল কার্যক্রমে সবথেকে বড় সাপোর্টার তার বাবা মা। বাবা মা সর্বক্ষণই সিজদাকে তার স্বপ্নের মত করে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। সারাদিন লেখাপড়ার পাশাপাশি গল্পের বই পড়া, ছবি আঁকা, নিউজ দেখা এসব কাজের মধ্যেই সিজদার ব্যস্ততম সময় কাটে।
নিজের কাজ, প্রতিভা, ইচ্ছাশক্তি আর সৎ উদ্দেশ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অদম্য আগ্রহ এই ছোট্ট বয়সেই যেন সিজদাকে করে তুলেছে অনন্যা। এমন অদম্য ইচ্ছা আগ্রহ নিয়ে গড়ে উঠবে আগামী প্রজন্ম, এই দেশকে তৈরি করবে সোনার বাংলা।