Skip to content

১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শরীরের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ প্রিয় মোবাইল সেটটি?

সারাদিনের রুটিনে আমাদের সবথেকে দীর্ঘ সময়ের সঙ্গী মোবাইল ফোন। কাজ বা ব্যক্তিগত সময়, মোবাইল ছাড়া যেন চলেই না। সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার প্রথম মোবাইলটা হাতে নি আমরা। আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় ও মাথার কাছে রেখেই ঘুমাই। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, কতটা ঝুঁকি পূর্ণ মোবাইল ফোন এভাবে নিয়মিত ব্যবহার? 

 

গবেষণা বলছে মোবাইলের রেডিয়েশনের কারণে মানুষের আয়ু কমে যাচ্ছে। ক্যান্সারের মত রোগের প্রকোপ হু হু করে বাড়ছে। চীন ও আমেরিকান গবেষকদের মতে, মোবাইলের সার্বক্ষণিক সঙ্গ এবং রাতে ঘুমানোর সময় শরীরের কাছাকাছি রেখে ঘুমানো অত্যন্ত বিপদজনক। যা হতে পারে প্রাণহানির কারণ। 

 

মোবাইল ফোন তৈরির সময় বেশিরভাগ লিথিয়ান ও আয়ন ব্যাটারী ব্যবহৃত হয়। যার থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় একশোটির মত গ্যাস নির্গত হয়। যেগুলো মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এইসকল গ্যাসের মধ্যে কার্বন মনোক্সাইডও রয়েছে। যা অতিমাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।

 

অনেকেই রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল মাথার কাছে রেখে ঘুমায়। ফলে অনেক শারীরিক ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই গবেষকরা ফোন মাথার কাছে রেখে না ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেক ফোন আবার চার্জে দিলে ব্যাটারি গরম হয়ে যায়। এগুলো আরো বেশি ক্ষতিকর। এধরনের মোবাইল বা ট্যাব থেকে বেশি গ্যাস নির্গত হয়। অনেক সময় ফোনের ব্যাটারী বিস্ফোরণও হয়ে থাকে। 

 

তাই এমন ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে, মোবাইল ব্যবহারের সময় সীমিত করুন। রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল মাথার কাছে, বালিশের নিচে না রেখে দুরে কিছুর উপর রাখুন। অনেকে রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইলে গান চালিয়ে হেডফোন কানে নিয়ে শুনতে শুনতে ঘুমান। এক্ষেত্রে ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করা উত্তম। ফোন দূরে রেখে ব্লুটুথ হেডফোনের সাহায্যে গান শুনুন।

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ