নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও এক যুগ পর নিয়োগ পেলেন বিউটি বেগম
২০০৮ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হন বিউটি বেগম । কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছর লড়াই করতে হয় তাকে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গত ১০ ডিসেম্বর গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে।
আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন (বিউটি বেগমের নিয়োগ তথ্য) বিষয়ে গতকাল সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ওই তথ্য জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় ২০০৮ সালে প্রথম হন। কিন্তু তখন নিয়োগ বঞ্চিত হন তিনি । দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নাজমা সুলতানাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ বঞ্চিত বিউটি বেগম এ নিয়ে গাইবান্ধার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে জজ আদালতে যান নাজমা সুলতানা।
কিন্তু সেখানে সফল না হয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। উচ্চ আদালত নাজমাকে শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে আবার আপিল করেন বিউটি বেগম। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ১৫ দিনের মধ্যে বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু এই রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় আদালত অবমাননার আবেদন করেন বিউটি।
বিউটি বেগমের নিয়োগ বিষয়ে আদালতের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ার প্রেক্ষাপটে ৭ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ ব্যাখ্যা জানাতে সাবেক মহাপরিচালক মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ ৫ কর্মকর্তাকে ১৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। এ অনুসারে গতকাল ৫ কর্মকর্তা আদালতে হাজির হন।
অবশেষে প্রায় এক যুগ ধরে আইনি লড়াইয়ের পর নিয়োগ পান বিউটি বেগম। আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ায় ৫ কর্মকর্তা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এবং ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট থেকে বিউটি বেগমের নিয়োগ কার্যকর হবে উল্লেখ করে আপিল বিভাগ অবমাননার আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।