বিবিখানায় শীতের আমেজ
গ্রীষ্মপ্রধান দেশ হলেও বছরে প্রায় ৩-৪ মাস কনকনে শীতের আমেজে সিক্ত হয় পুরো বাংলাদেশ। আর শীত এলেই ভোজন রসিক বাঙালী মেতে উঠে পিঠা পুলির উৎসবে। ভিন্ন স্বাদ, রঙ এবং গন্ধের পিঠার আমেজে মানুষ মত্ত হয়ে উঠে। প্রথমবার বাপের বাড়ি আসা মেয়ে জামাইকে বরণ কিংবা শীতের রাতে চড়ুইভাতি, সবকিছুতেই পিঠার উপস্থিতি উৎসবমুখর পরিবেশে অন্য এক মাত্রা যোগ করে।
কিছু সাধারণ পিঠার বাইরেও অঞ্চলভেদে রয়েছে, সুস্বাদু কিছু বিশেষ ধরনের পিঠা। বিক্রমপুরের বিখ্যাত বিবিখানা এর মধ্যে অন্যতম। অনেকে বিদেশী কেকের বিকল্প হিসেবেও এ পিঠাকে দাবি করে থাকেন। বিদেশী কেক প্রস্তুত প্রণালীর চেয়ে অনেক বেশি সহজে এবং অল্প সময়ে তৈরি করা যায় বিখ্যাত এই বিবিখানা পিঠা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ডিম ২টি
ঘি ১/৪ কাপ
খেজুরের গুর ১/২ কাপ
নারিকেল কুড়ানো ১ কাপ
তরল দুধ ১ কাপ
চালের গুড়া ১ কাপ
ময়দা ১/২ কাপ
বেকিং পাউডার ১ চা চামচ
এলাচের গুড়া ১/৪ চা চামচ
লবণ পরিমাণ মতো
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে ডিম, ঘি, খেজুরের গুড়, নারিকেল কুড়ানো, তরল দুধ এবং পরিমাণ মতো লবণ একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এতে চালের গুড়া, ময়দা, বেকিং পাউডার এবং এলাচের গুড়া মিশিয়ে আবারো ভালোভাবে মেশাতে হবে। সব উপকরণ একসাথে মিশে গেলে, অন্য একটি পাত্রের ভিতরের অংশে ভালো করে ঘি মাখিয়ে নিতে হবে।
যেহেতু বিবিখানা পিঠা ভাপে তৈরি করতে হয়, সেহেতু আরেকটি পাত্র চুলায় বসিয়ে, এতে একটি পরিষ্কার ছোট রুমাল দিয়ে এক কাপ পরিমাণ পানি দিতে হবে। এরপর রুমালের উপর সরিয়ে রাখা পাত্রটি বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ২০ মিনিট নিম্ন তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে।
পানি ফুটতে শুরু করলে চুলার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন রাখার চেষ্টা করতে হবে, এতে পিঠার সব অংশ ভালোভাবে তাপ শোষণ করতে পারবে, এবং পিঠা সবদিক দিয়ে সমানভাবে হবে। রান্নার শেষ পর্যায়ে একটি কাঠি দিয়ে দেখে নিতে হবে সবদিক সমান ভাবে হয়েছে কিনা। হয়ে গেলে একটি থালায় নিয়ে, নারকেল কুড়ানো ছিটিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
বিদেশি কেক তৈরির রেসিপির তুলনায় খুব সহজে, কম সময়ে এবং হাতের কাছে থাকা দেশীয় উপকরণের মাধ্যমেই তৈরি করা যায় বিবিখানা পিঠা। ছোট হোক কিংবা বড়, সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে বিবিখানা হতে পারে শীতের সেরা পছন্দ।