বেগম রোকেয়া দিবস আজ
বাংলার নারী জাগরণের স্বপ্নদ্রষ্টা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪০ তম জন্ম এবং ৮৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
নারীশিক্ষার প্রসারে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু কাজ করে গেছেন বেগম রোকেয়া। নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, তাঁদের ক্ষমতায়ন, প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই ছিলো তাঁর জীবনের লক্ষ্য। বলতে গেলে তাঁর কারণেই আজ বাঙালি নারীরা এতোটা স্বাধীন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে শিক্ষায়, সামাজিকভাবে এগিয়ে গিয়েছে।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালে একই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই দিনটি রোকেয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে বাংলাদেশে।
বেগম রোকেয়ার পিতার নাম জহির উদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের। মা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। ১৮৯৮ সালে ১৬ বছর বয়সে ভাগলপুর নিবাসী ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ২৮ বছর বয়সে স্বামী হারান তিনি। ১৯১০ সালের শেষ দিকে তিনি কলকাতায় যান। নারী শিক্ষাকে তিনি জীবনের লক্ষ্য হিসেবে দেখেছেন। নারীদের শিক্ষিত করার জন্য তিনি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মেয়ে শিক্ষার্থী যোগাড় করতেন। মেয়েদের জন্য তিনি একটি স্কুল তৈরি করেছিলেন। মাত্র নয় জন শিক্ষার্থী নিয়ে তিনি সাখাউয়াত হোসেন মেমোরিয়াল স্কুল শুরু করেছিলেন।
তাঁর এই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। বাঙালি নারীরা এগিয়েছে। শিক্ষিত হয়েছে, পেয়েছে সামাজিক স্বীকৃতি। বেগম রোকেয়া হলেন নারী জাগরণের অগ্রদূত।
বেগম রোকেয়া অনেক বিখ্যাত বই লিখেছেন। এর মধ্যে পিপাসা (১৯০২), মতিচূর (১৯০৪), সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৮), সওগাত (১৯১৮), পদ্মরাগ (১৯২৪) ও অবরোধবাসিনী (১৯৩১) উল্লেখযোগ্য।