কেন খাবেন ইসবগুলের ভূষি?
অনেকেই দীর্ঘদিন যাবত পেটের নানা ধরনের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা এসিডিটিতে ভুগছেন। বিশেষ করে যারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগছেন তারা বেশিরভাগ সময়ই লজ্জায় তাদের এই মারাত্মক সমস্যার কথা কারো কাছে শেয়ার করতে চাননা। কিন্তু আপনি নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন। আপনার এইসব সমস্যার সমাধান করবে ইসবগুলের ভূষি। তাহলে জেনে নেয়া ইসবগুলের উপকারী গুণাগুণসমুহ-
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে
ইসবগুলের ভূষির রয়েছে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধী গুণাগুণ। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণটি হলো এই ভূষি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধে দারুণভাবে কাজ করে। এতে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের মল নরম করে দেয় ফলে খুব সহজেই ইলিমিনেশন সম্ভব হয়। আপনি যদি প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে ২চামচ ইসবগুল ভূষি ও ১গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করেন তবে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য খুব সহজেই দুর হয়ে যাবে। আর হ্যাঁ দীর্ঘদিন যাবত কেউ যদি এর রোগটি পুষে রাখেন তাহলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই দয়া করে এটি পুষে রাখবেন না। আপনি কাউকে না বলতে চাইলে আজই ইসবগুল ভূষি কিনে আনুন ও নিয়মিত খান তাহলে আপনিও সেরে উঠবেন এই মারাত্মক ব্যাধি থেকে।
রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে
এই ভূষি খেলে আমাদের অন্ত্রে এক ধরনের স্তর তৈরী হয় যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দান করে ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরল এর পরিমান কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই হৃদরোগীদের জন্য দারুণ একটি খাবার এটি।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে
অনেকেই ডায়রিয়ায় ভুগে থাকেন মাঝেমাঝেই। হ্যাঁ তাদের জন্য দারুণ একটি টনিক হলো ইসবগুলের ভূষি ও দই। এই দুটি একসাথে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
এতে ফাইবার উপস্থিত থাকায় হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতিতে হয় তাই ক্ষুধা লাগে অনেক কম। এটি খেলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
ইসবগুলের ভূষিতে রয়েছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমান বাড়তে পারেনা। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই ভূষি খুবই উপযুক্ত।
এসিডিটি কমাতে
ভূষিতে উপস্থিত ফাইবার পাকস্থলীতে একটি স্তর তৈরী কর যা আমাদেরকে এসিডিটির হাত রক্ষা করে। এছাড়া হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এই ভূষি।
কোষ্ঠকাঠিন্য সহ অন্যান্য রোগে থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ইসবগুলের ভূষি খান, সুস্থ্য সবল জীবন যাপন করুন।