ঈদে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তারা

ঈদ উপলক্ষে নির্মিত সিনেমার মাধ্যমে যাদের শোবিজাঙ্গনে অভিষেক তাদের নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।
রুবেল
১৯৮৬ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লড়াকু’ ছবিতে অভিষেক হয় রুবেলের। লড়াকুতে নিজের লড়াইয়ের পরিচয় দিয়ে আজও অভিনয় করে চলছেন সমান জনপ্রিয়তা। রুবেলই এক মাত্র নায়ক যার নব্বই দশকের সোনালী সিনেমাঙ্গনে কোনো সিনেমাই ফ্লপ হয়নি।
বাপ্পারাজ
১৯৮৬ সালে ঈদুল ফিতরের নায়ক রাজ্জাক পরিচালিত 'চাপা ডাঙ্গার বউ' সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমা পাড়ায় আত্মপ্রকাশ করেন নায়ক রাজ্জাকের যোগ্য সন্তান বাপ্পারাজ। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাপ্পারাজের। তার অভিনয় শৈলীর মাধ্যমে জনপ্রিয় বহু সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।
সালমান শাহ- মৌসুমী
কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমার গল্প কারও অজানা নয়। ১৯৯৩ সালে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এই সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে সালমান শাহ ও মৌসুমির সিনেমায় অভিষেক হয়। সালমান- মৌসুমী এই সিনেমায় অভিনয়ের আগে বিজ্ঞাপন ও গানের ভিডিওর মডেল হয়েছিলেন।
রিয়াজ
দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘বাংলার নায়ক’ ছবিতে অভিষেক ঘটে রিয়াজের যা মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালের ঈদুল ফিতরে। প্রথম ছবিতে সহশিল্পী ছিলেন শাবানা ও জসীম। তবে প্রথম ছবিতেই আলোচনায় আসতে পারেননি এ নায়ক।
পপি
মনতাজুর রহমান আকবরের 'কুলি' সিনেমা মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে ঈদুল আজহায়। আর এই সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেক হয় পপির।
কেয়া
২০০১ সালে মনতাজুর রহমান আকরব পরিচালিত ‘কঠিন বাস্তব’ ছবিতে অভিষেক হয় কেয়ার। রিয়াজ ও আমিন খানের মতো জনপ্রিয় নায়কের বিপরীতে শুরু করেও সাফল্য পাননি কেয়া। তবে প্রথম ছবিটি হিট হয়েছিল।
জায়েদ খান
২০০৪ সালে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ছবির মূল নায়ক-নায়িকা ছিলেন রিয়াজ-শাবনূর। সে ছবিতেই ফাইজার সঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করেন জায়েদ। অবশ্য এর আগে মডেলিং করতেন জায়েদ।
অপি করিম
২০০৪ সালে ‘ব্যাচেলর’ ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয় চ্যানেল আইতে। পরে বলাকা হলে মুক্তি পেয়ে অনেকদিন ধরে চলে। এ সিনেমার মাধ্যমেই সিনেমায় অভিষেক হয় অপির। এ সিনেমাটিও ঈদে মুক্তি পায়।
শ্রাবন্তী
‘রং নাম্বার’ সিনেমাটি প্রণব ভট্টের কাহিনী থেকে এটি নির্মাণ করেছিলেন মতিন রহমান। মডেল ও অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর প্রথম সিনেমা এটি। শ্রাবন্তীর বিপরীতে অভিনয় করেন রিয়াজ।
বিদ্যা সিনহা সাহা মিম
মিমের প্রথম ছবি ‘আমার আছে জল’ মুক্তি পায় ঈদে। এমনকি বাণিজ্যিক ছবি জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ (২০০৯) মুক্তি পেয়েছিল ঈদে।
তিন্নি
প্রথম ছবি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ (২০০৭) ঈদে মুক্তি পায়। ২০১২ সালের ঈদুল ফিতরে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘সে আমার মন কেড়েছে’ বাণিজ্যিক ছবির মাধ্যমে বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিষেক হয়। ছবিতে তিনি শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন।
মিমো
মিমো ২০১০ সালে এফ আই মানিক পরিচালিত ঈদের ছবি ‘এক জবান’র মাধ্যমে সিনেমায় অভিষিক্ত হয়।
ইমন
ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত ‘এক বুক ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক হয় চিত্রনায়ক ইমনের। সিনেমাটি পরিচালনা করেন ইস্পাহানী আরিফ জাহান অপু বিশ্বাস ছিলেন তার নায়িকা। ২০০৮ সালের ঈদে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল।
রোমানা
রোমানার শুরুটা ‘জয়যাত্রা’র মাধ্যমে হলেও প্রথম বাণিজ্যিক ছবি পি এ কাজল পরিচালিত ‘এক টাকার বউ’। বিপরীতে ছিলেন শাকিব খান।
নুসরাত ফারিয়া
যৌথ প্রযোজনার ‘আশিকী’ সিনেমা যা ২০১৫ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায়। আশিকী সিনেমার মাধ্যমে অভিষেক ঘটে নুসরাত ফারিয়ার।
বুবলী
এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বুবলির আবির্ভাব ঘটে ঈদের সিনেমা দিয়ে। ২০১৬ সালের ঈদুল আজহার ‘বসগিরি’ এবং ‘শুটার’ ছবির মাধ্যমে অভিষেক হয় বুবলীর। ঈদে একসঙ্গে দুই ছবির মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করার রেকর্ডটাও বুবলীরই প্রথম।
এছাড়াও ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ ‘পোড়ামন ২’ সিনেমার মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক করেছেন। এ তালিকায় বিদেশীদের মধ্যে রয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত যিনি ১৯৯৭ সালে ঈদুল ফিতরে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয় ঋতুপর্ণার। উত্তম আকাশের ওরা দালাল সিনেমার মাধ্যমে রচনা ব্যানার্জি ঢাকাই সিনেমায় পা রাখেন যা ঈদে মুক্তি পায়।