করোনা প্রতিরোধে বিশ্ববাসীর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করলেন জেনেফার!
করোনা ভাইরাসে সারা পৃথিবী যেনো থরথর করে কাঁপছে। সেই ভয়াবহ আতঙ্কের মধ্যেও একটু সুসংবাদ অথবা মানবতাবোধ বিশ্বকে নাড়িয়ে দিলো। বিশ্ববাসীর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে এক সাহসী নারী বিরল দৃষ্টান্ত রাখলেন।
আমেরিকার সিয়াটেলের ৪৩ বছর বয়সী ফার্মাসিস্ট জেনিফার হালার স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন নিজের শরীরে গ্রহণ করেন মার্চ মাসে। তার আগে তাকে ৪৫ পৃষ্ঠার ছাড়পত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। তারপর সিয়াটেলের কায়সার পারমানেন্ট ওয়াশিংটন হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গত ১৬ মার্চ তাকে একটি সম্ভাব্য করোন ভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের প্রথম শট দেয়া হয়। যা নিয়ে গবেষকরা এখন COVID-19'এর প্রতিশোধক আবিষ্কারের জন্য পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।
জেনিফার হালার একজন ফার্মাসিস্ট হলেও পেশায় একটি ছোট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের অপারেশন ম্যানেজার। তিনি তার ছেলে হায়ডেন এবং মেয়ে ইল্লিয়ে এবং পরিবারের অনুমতি নিয়ে স্বেচ্ছায় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে গিনিপিগ সেজে বিশ্বে হিরো হয়ে উঠলেন। বর্তমানে জেনিফার প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সকলেই যখন ভীষণ অসহায় বোধ করছি, তখন এটি আমার জন্য কিছু করার একটি দুর্দান্ত, দুর্লভ এবং আশ্চার্য সুযোগ’।
ইনজেকশন দেয়ার পর ঘরে ফিরে জেনেফার আরো বলেন: ‘এই অবদানের জন্য আমি দুর্দান্ত এক অনুভূতি অনুভব করছি।’
আমেরিকার শীর্ষ স্থানীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্টনি ফৌসি বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং গবেষণায় ১২ থেকে ১৮ মাস ধরে একটি ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে ব্যবহারের জন্য পাওয়া যাবে কিনা, তা বলা যাচ্ছেনা। তবে তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্রুত গতিতে চলছে।
এদিকে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ড্রোনাল ট্রাম্প ফার্মাসিউটিক্যাল এক্সিকিউটিভদের বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন যাতে তা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে তা নিশ্চিত করতে চায়।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি থেকে গত তিন মাসে ১৮০টি দেশে এই ভাইরাস মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে এখন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ ১৯ হাজার, আর মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫৯ হাজার!