Skip to content

২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবিতা

আত্মকথন
ভাস্কর চৌধুরী

নিড়ালে নিজেকেই নিড়ানো ভালো
অন্যকে নিখরচায় নিড়াতে যাব ক্যানো?
নিউরনে উস্কানি দেয়, তাই জেগে বুঝি
উস্কানি চুলের আগুন সতেজ রাখে।

প্রকৃতিতে যা কিছু সব মানুষের দেহে
ও স্বভাবে আছে।
নদী বললে নদী, নয়তো পাহাড়
সাগরের মতো বুক তাঁর ছিল

সামান্য বাতাসে সুপারি পাতারা দোলে
তার ছায়ার নীচে দিয়ে শাড়ি সামলাতে
সামলাতে আমার আপন কাজে যায়
হয়ত, এমন সময় দেখতে সে সবাই চে ভালো। মনটা উস্কালো।

আমি আজ তার কাছে বিকেল বেলায় যাব।

 

আমাদের গন্ডোলারা
জিললুর রহমান

আমাদের গন্ডোলারা চাক্তাই খালের কালোজলে
দিবারাত্র ঘষটে ঘষটে চলে
হয়ে পড়ে ঘনকৃষ্ণ এবং ফ্যাকাশে
ভেবেছি সমুদ্র যাত্রা শুরু করি একদিন ক্লান্তিজ্বরা শেষে
অথচ নদীর নাব্যতায় আজ সুতীব্র ঘাটতি
চকচক করে না আর গন্ডোলা বা মুদ্রার চাকতি
তবু এক অনন্তের নিত্য আবাহনে
কোনো দূর-দিগন্তের পানে
সকলেরই যেতে হবে অন্য কোনোখানে
জীবনের স্রোতের উল্লাসে অথবা ভাঁটার টানে

আমাদের গন্ডোলায় জমে শ্যাওলা আর নর্দমার পাঁক
জল মজে থ্যাক থ্যাক করে মরে গেছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ
গন্ডোলার ফুটোগুলি কালো শামুকের অযাচ দখলে
তবু ভাবি একদিন যাব যাব, সুদূর সমুদ্রে চলে মহাকালে।

 

 

হঠাৎ চাঁদের হাসি
ইসমাত মির্যা

রাত-দিন উর্ধ্বশ^াসে যতই ছুটুক
আকাশের কারাগারে বন্দি পৃথিবী, সৌরজগৎÑ
কোনোদিনও পায় নাই মুক্তির স্বাদ,
যতই জ¦লুক
তেজস্বী সূর্যের জ¦লন্ত বুক পুড়ে পুড়ে শেষ হয়
ঘোচে না কিছুতেই অনন্ত আকাশের অসীম অন্ধকার।

হৃদয়ের জগতেও বিশাল আকাশ
আয়নার বিশে^র মতো, নিয়ত দৃশ্যমান, যায় না ধরাÑ
অন্ধকার, আবদ্ধ পরিবেশ
যন্ত্রণাময়
ব্যথা হেনে সুখ খোঁজে অকারণ প্রতিবেশীজন 
আহত সময় বয়, ন্যুব্জ জীবনভারে ভারাক্রান্ত ক্ষণ;

হঠাৎ চাঁদের হাসি মধ্যরাতে
হৃদয় আকাশজুড়ে জ্যোৎস্না স্নিগ্ধতা প্রশান্তি আনে
প্রকা- নক্ষত্রেরা যেন
বিন্দু জোনাক
অব্যর্থ প্রতিষেধক তোমার কয়টি কথার প্রলেপ
হৃদয়ে সূর্য হয়ে ঘুচাব অন্ধকার, প্রেমে পড়ে মন। 

 

 

সহজ 
সাম্য ভট্টাচার্য

তবু হাসতে ইচ্ছে করে,
তোমার অজানা আগুনে শরীর নষ্ট করতে…
শিহরিত কৌতুকে ভালোবাসার খেলা
                      জীবন নিয়েই। 
বিচ্ছিন্নতা যোগাযোগের অপর উপায়।
এখন সবকিছু সহজে হারানো এবং
সেইসব মালিকানা ফিরে পেতে
দরকার সূর্যের নশ্বর উপবীত?

এই শুদ্রের ঠোঁটে, জিভে
মিশে যাবে তোমার 
প্রশ্নাতীত শ্রেষ্ঠত্বের 
চির-অনুচ্চারিত সংগীত।

 

 

পীড়িত পদ্য
জাকির  আজাদ

দুঃখ দুঃখ লাগে কেবল
দুঃখ দুঃখ লাগে,
কষ্ট কষ্ট পাচ্ছি শুধু
যা ছিল না আগে।
ব্যথা ব্যথা হয় অনুভব
বুকের পুরো ভাগে,
হতাশ হতাশ হই ব্যাপক
হৃদয় আসে না বাগে।

নিরাশ নিরাশ প্রত্যহ দিন
মন করুণা মাগে,
যাতন যাতনা সক্রিয় রয়
উচ্ছ্বাস দৌড়ে ভাগে।
বিষাদ বিষাদ বিদিত প্রাণ
মেজাজ নিত্য রাগে,
মলিন মলিন বন্দিজীবন
বিরহ কলঙ্ক দাগে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ