মশা মারতে কামান নয়!
‘মশা মারতে কামান দাগান।’ এ-প্রবাদটি ছোট কাজে বড় আয়োজন অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। বাস্তবে ডেঙ্গু প্রভাবে মশাই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ংকর। তবে মশা মারা কিন্তু এত সহজ নয়। কামান দিয়েও সম্ভব নয়। মশা মারতে স্প্রে, ব্যাট, কয়েল নানা প্রতিরোধক নিয়ে আমরাও তৈরি। কিন্তু এগুলো কি স্বাস্থ্যস€§ত? মোটেই না। ধোঁয়া, ধুলা, রাসায়নিক পদার্থ, কয়েল, স্প্রে এগুলো সহ্য করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এগুলোর বিকল্প ব্যবহার নিয়ে রইলো কিছু টিপস।
জেনে নিন-
মশা যাতে ঘরে ঢুকতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরের দরজা-জানালায় নেট বা মশা নিরোধক জাল ব্যবহার করতে হবে। জানালা খোলা থাকলেও নেট দেওয়া থাকলে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
যে মশাগুলো ঘরে ঢোকে, তার জন্য মশারি কিংবা বৈদ্যুতিক ব্যাট ব্যবহার করা যায়।
কয়েলের চেয়ে মশারি ব্যবহারে নিরাপত্তা বেশি। শুধু যে স্বাস্থ্য ভালো থাকে তা নয়, নিরাপত্তার জন্যও এটি ভালো। অনেক সময় কয়েলের ধোঁয়ায় ঘরে আগুন লেগে যেতে পারে।
বাড়ি নির্মাণের সময় বড়ো জানালা দিতে হবে, যেন বাড়িতে আলো-বাতাস বেশি ঢোকে। ফলে মশার উপদ্রব কিছুটা হলেও কম হবে।
যে পথ দিয়ে মশা ঘরে প্রবেশ করে, সেই প্রবেশপথে কয়েল রেখে দিলে কয়েলের ধোঁয়ায় অনেক সময় মশা ঘরে কম প্রবেশ করে। কয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন কয়েলের ধোঁয়ায় পরিবারের কারও বিশেষ করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা না হয়।
গাছের গোড়ায়, প্লাস্টিকের ভাঙা বাটিতে, ফেলে দেওয়া নানা জিনিসে অনেক সময় পানি জমে থাকে, যাতে এডিস মশারা ডিম পাড়ে। এজন্য ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
স্প্রের ব্যবহারে একটু সতর্ক থাকতে হবে। নাকে-মুখে মাস্ক পরে নিন বা কাপড় দিয়ে ঢেকে নিন। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরের কোণায় কোণায় ওপরের দিকে স্প্রে করুন। যেন রাসায়নিক পদার্থ ওপর থেকেি নচে পড়ে। স্প্রে করার পর অন্তত ১০ মিনিট পর্যন্ত ঘর বন্ধ করে রাখতে হবে এবং সেখানে ঢোকা যাবে না।
মশা মারার জন্য বাজারে যেসব ইলেকট্রিক্যাল ব্যাট পাওয়া যায়, সেসব ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে শিশুদের হাতের নাগালে ব্যাট রাখা যাবে না।