দেয়াল হোক মনের ক্যানভাস
ঘরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় আরেকটু নান্দনিক করে তোলার অন্যতম উপায় হলো দেয়াল বা প্রাচীরঅংকন। প্রাচীর অংকন ব্যাপারটি মোটেও কঠিন এবং ব্যয়বহুল নয় বরং খুবই স্বল্পখরচে নিজের সাদামাটা চারদেয়ালের রূপ বদলে দেওয়ার একটি পন্থা মাত্র।
এটি একটি আধুনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং-এর মাধ্যম। এর মাধ্যমে একজন শিল্পীমনা ব্যক্তি খুব সহজেই একটি দেয়ালকে বানিয়ে ফেলতে পারে তার মনের ক্যানভাস। এই ক্যানভাসে সে তুলে ধরতে পারে শিল্পীমনার সৃজনশীলতা।
দেয়াল অঙ্কন একটি বিশেষ ধরনের চিত্রাংকন মাধ্যম যেটি সম্প্রতি খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আজকাল বেডরুম থেকে শুরু করে অফিসের দেয়াল পর্যন্ত যে-কোনো স্থানে আপনি দেয়াল অংকন করিয়ে আপনার কক্ষে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় বলাবাহুল্য, প্রাচীন অঙ্কন একটি অনন্যশিল্প যা আপনি আপনার চাহিদা ও রুচিমাফিক বদলে নিতে পারেন। এক একটি প্রাচীর অংকন একেকজন ক্লায়েন্ট ও শিল্পীর মননশীলতার সংমিশ্রণ মাত্র।
তাছাড়া, একটি প্রাচীর অঙ্কন একটি কক্ষের আকর্ষণ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। একটি সুন্দর দেয়াল খুব সহজেই বদলে দিতে পারে একটি রুমের সৌন্দর্য।
এছাড়াও একটি সুন্দর দেয়াল ও পর্যাপ্ত লাইটিং হতে পারে অনেক দামি দামি আসবাব পত্রের বিকল্প। একটি সিম্পল বেডরুম কিডস রুম কিংবা একটি অফিস লাউঞ্জ সাজাতে প্রাচীর অঙ্কন তুলনা নেই।
শুধুমাত্র সৌন্দর্য বৃদ্ধি নয়, একজন শিল্পীমনা ব্যক্তির রুচি ও মননশীলতার পরিচায়ক হতে পারে একটি দেয়াল অংকন। একজন শিল্পী একটি দেয়ালকে বিভিন্নভাবে নতুন নতুন রূপে সজ্জিত করতে পারে তার রংতুলির বিশেষ আঁচড়ে।
একটি দেয়ালচিত্র হতে পারে কোনো গল্প, কোনো বার্তা, কোনো উক্তি, কোনো কাল্পনিক চিত্র বা দৃশ্য অথবা কোনো একটি অজানা অ্যাবসার্ড ডিজাইন মাত্র একজন শিল্পীর কাছে একটি দেয়াল একটি ক্যানভাসের থেকে কোনো অংশে কম নয়।
তাই সে নিজের মনের সকল সৃষ্টিশীলতাকে রং-তুলির আঙ্গিকে তুলে ধরে সেই ক্যানভাস রুপী দেয়ালকে।
অতএব, আপনার অফিস কিংবা বাসাকে আরও মনোরম করে তুলতে দেয়াল অংকনের বিকল্প নেই। আপনার বসবাসের কিংবা কাজের রুমটিতে একঘেয়েমিভাব কাটিয়ে কিছু নতুনত্ব এনে দিতে আপনিও করে দিতে পারেন খুবই সিম্পল এবং দৃষ্টিনন্দন এক একটি দেয়াল অংকন।
যার মাধ্যমে আপনার চারিদিকের এক একটি দেয়াল হয়ে উঠবে এক একজন শিল্পীমনের মননশীলতার একেকটি রূপক।
এভাবেই প্রতিটি দেয়াল হয়ে উঠতে পারে এক একটি মনের ক্যানভাস.
