দীর্ঘ সময় কাজে হতে পারে স্বাস্থ্য হানি
জীবন ও জীবিকার টানে আমাদের কোনো না কোনো পেশা বেছে নিতে হয়। আর কাজ মানে তো দায়িত্ব। নিজের দায়িত্ব সম্পন্ন করতে কাজ করতেই হবে। সেই খাতিরে অনেক সময় আমাদেরকে দীর্ঘ সময় কাজ করতে হয়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে হতে পারে স্বাস্থ্য হানি।
দীর্ঘ সময় কাজ করলে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন স্ট্রোক, হৃদরোগ, মেরুদণ্ডে ব্যথা, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, মানসিক অবসাদ, খিটখিটে মেজাজ, কাজের প্রতি বিরক্তি ইত্যাদি। দীর্ঘ সময় কাজের ফলে এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে অর্থাৎ সুস্থ থাকতে যা করবেন, ব্যাংক, এনজিওকর্মী, ডাক্তার, সাংবাদিক এরকম অনেক পেশার মানুষ রয়েছে যাদের কাজের পরিধি নয়টা থেকে পাঁচটা থাকে না। তাদের কাজের প্রয়োজনে অধিক সময় খাটতে হয়। তাই এসব পেশার মানুষের উচিত প্রতি একঘণ্টা পরপর ৫-১০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটা। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে।
যারা কম্পিউটারে কাজ করেন, তারা অবশ্যই কম্পিউটারের উচ্চতা চোখের সঙ্গে সমান করে রাখতে হবে। অধিক সময় টাইপ করলে হাতের কনুই চেয়ারের দুপাশের হাতলে রেখে নিতে পারেন৷ মাঝে অবশ্যই কিছুক্ষণ বিরতি নিতে হবে। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখুন। ভালো হয় কিছুক্ষণ সবুজ কোনো গাছের দিকে তাকিয়ে থাকলে।
দীর্ঘদিন টানা কাজ করে হাঁপিয়ে ওঠা খুব স্বাভাবিক। তাই অফিস থেকে ছুটি নিতে পারেন একদিন নিজের জন্য। নিজের সঙ্গে সময় কাটিয়ে অবকাশ যাপন করতে পারেন। এতে ক্লান্তি দূর হওয়ার পাশাপাশি কাজে নতুন উদ্যমে ফেরার এনার্জি পাওয়া যায়।
এছাড়া, আরও দুটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে হবে। তা হলো, শরীরচর্চা ও খাবার দাবার। কী খাবেন, কখন খাবেন, এসব বিষয়ে নিজেকে সচেতন হতে হবে। কাজের চাপে অনিয়মিতভাবে খাবার-দাবার গ্রহণ করলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যতই কাজের চাপ থাকুক, খাবার-দাবার নিয়ে অসচেতন হওয়া যাবে না। আর নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকবে, কাজে আনন্দ পাওয়া যাবে।