ঘরের আসবাবের যত্ন নেবেন যেভাবে
আজকাল যখন-তখন হুটহাট বৃষ্টি যেন বর্ষার আগাম বার্তা দিতে শুরু করেছে। কিন্তু শহরের বর্ষা কিংবা ঘন বৃষ্টি কি আদতেই ভালো?
বাইরে কাদা আর জমে থাকা পানি বহু বছর ধরেই শহরে একটি বড় সমস্যা হয়ে আছে। এমনকি ঘরের ভেতরেও থাকে নানা আশঙ্কা। বিশেষত কাঠের আসবাবে ছত্রাক বা সাদা দাগ পড়ার আশঙ্কা তো আছেই। অনেকেই একে ‘ছাতা’ পড়া বলে।
বৃষ্টি কিংবা বর্ষার সময় জলীয়বাষ্প বাড়তে শুরু করে। ঘরে আলো না ঢুকলে ঘর যেমন স্যাঁতস্যাঁতে থাকে, তেমনই আসবাবে ছত্রাক বাড়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই কাঠের আসবাবের যত্ন ঠিকভাবে নেওয়া উচিত। এতে অন্তত আপনার দামি আসবাব ঠিক থাকবে। কিন্তু সেটা কিভাবে? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
জানালা থেকে দূরে রাখুন আসবাব
ঘর সাজানোর সময় কাঠের আসবাব জানালা কিংবা দরজা থেকে দূরে রাখুন। জানালা থেকে আসা বৃষ্টির ছিটেফোঁটা কাঠের বার্নিশ যেমন নষ্ট করে তেমনই ছত্রাকের বংশবৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়।
বছরে অন্তত একবার বার্নিশ করিয়ে নিন
কাঠের আসবাব ছত্রাকমুক্ত কিংবা সমস্যামুক্ত রাখতে হলে বার্নিশ করানো প্রয়োজন। অনেক সময় আসবাবে পোকা ঘর বাঁধে। আবার কোনো কারণে ফুটোফাটারও দেখা দেয়। বার্নিশ করে নিলে অন্তত এই সমস্যাগুলো ঠিক করা সম্ভব।
আসবাবের নিচে ধাতব পাত কিংবা কাগজ ব্যবহার করুন
অনেক সময় আসবাবের নিচে যথেষ্ট জায়গা থাকেনা। এতে বাতাস চলাচলে বাধা থাকে। বৃষ্টির সময় আসবাবের নিচের গুমোট পরিবেশ থেকে বাষ্প নির্গত হয় যা কাঠকে স্যাঁতস্যাঁতে করে তোলে। তাই আসবাবের নিচে ধাতব পাত কিংবা কাগজ রাখুন।
আসবাব পরিষ্কারে ভেজা ন্যাকড়া নয় একেবারে
অনেক সময় আসবাবের ওপর ধুলো একেবারেই পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে ভেজা ন্যাকড়া ব্যবহার করে অনেকে ধুলো দূর করেন। এমনটা করা উচিত নয়। বরং আসবাবের ওপর দু-তিন ফোঁটা নারকেল তেল দিয়ে মুছে নিন। এতে ধুলোও যাবে এবং আসবাব কিছুটা চকচক করবে।
ধুলো জমতে দেবেন না
কাঠের আসবাবে ধুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। ধুলো বাতাসের আর্দ্রতাকে টেনে আনে। অনেক সময় দেখবেন কাঠের আসবাবে ধুলো জমে দাগ বসে গেছে। এসব ক্ষেত্রেও ছত্রাকের আশঙ্কা থাকে। তাই নিয়মিত ধুলো ঝেড়ে ফেলুন।
অনন্যা/ এআই