প্রবীণ সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের তাগিদ

বাংলাদেশে প্রবীণদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে ‘ফোরাম ফর দ্যা রাইটস অব দা এল্ডারলি’। মানসিকভাবে সক্ষমতাহীন ব্যক্তি, যাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম, তাঁদের অধিকার সুরক্ষা ও সর্বোত্তম স্বার্থে তাঁদের জন্য প্রতিনিধি নিযুক্তসহ স্বচ্ছ, মানবিক, ন্যায্য পদ্ধতিতে মানসিক সক্ষমতার মূল্যায়ন বা প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে সহায়তা প্রদান করা প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন উপস্থিত অথিতিবৃন্দ।
শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর বারিধারায় মানসিক সক্ষমতা আইন প্রণয়নের যৌক্তিকতা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আমন্ত্রিত বক্তারা।
বিশেষ অথিতির বক্তব্যে দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, “মানসিক সক্ষমতা আইন প্রয়োগের মূল যৌক্তিকতা হল, যাদের নিজেদের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই, এমন ব্যক্তিদের পক্ষে কাজ করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রদান করা। এই আইনটি বিশেষভাবে বয়স্ক এবং মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য কাজ করবে। এই আইনের মাধ্যমে, তাদের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত হবে এবং তাদের অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হবে।”

প্রখ্যাত সাংবাদিক, কবি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বিশেষ অথিতির বক্তব্যে বলেন, “একটা বয়সের পর সবাই বায়োবৃদ্ধ হবে তাদের সুরক্ষার কথা কেউ তেমন ভাবে না। তবে আগামীতে একটা নির্বাচিত সরকার আসলে এই বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করবে বলে আমি প্রত্যাশা রাখি।”
প্রধান অথিতির বক্ত্যবে প্রশিকার প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম বলেন, “প্রশিকার সবসময় বঞ্চিতদের নিয়ে কাজ করে। যারা প্রবীণ হয় তাদের প্রতি কারো খেয়াল থাকে না, তারাও একটা সময় সবার কাছে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। আমি মনে করি প্রবীণ সুরক্ষা আইন প্রণয়নের এখন সময়ের দাবি। প্রশিকা সব সময় প্রবীণদের পাশে আছে।”
ফোরাম ফর দ্যা রাইটস অব দা এল্ডারলি সভাপতি মে.জে. অব. জীবন কানাই দাস বলেন, “আমি মনে করি এই মাস হল প্রবীণ নির্যাতন ও নিধরণ মাস। আমি লক্ষ্য করেছি, আমাদের দেশে মানষিক সক্ষমতার আইনের অভাব রয়েছে। প্রবীণদের জন্য ইটা খুবই জরুরি। কারণ তাদের ওই সময়ে শারীরিক ও মানুষিক সক্ষমতা থাকে না। সেই জন্য তারা তাদের অধিকার গুলো পায় না। তার জন্য প্রবীণ সুরক্ষা আইনতা অত্যন্ত জরুরি।”