Skip to content

নারী সাফে ভারতীয় গোঁড়ামি, প্রতিবাদ বাংলাদেশে

নারী সাফে ভারতীয় গোঁড়ামি, প্রতিবাদ বাংলাদেশে

পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুসারে সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসে ঢাকায় বসার কথা রয়েছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট। গেল আসরের থেকে এক দল বাড়িয়ে পাঁচ দেশ নিয়ে এবারের টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও টুর্নামেন্টের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে নিজেদের নাম সড়িয়ে নিয়েছে ভারত। তবে কেন নাম প্রত্যাহার করে নিলো গেল আসরের বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ শিরোপাজয়ী দলটি, সে কারণ অবশ্য জানা যায়নি।

ভারতের নাম প্রত্যাহার করার ফলে দল কমে হয়েছে চারটি। দল কমে যাওয়ায় সাফ প্রতিযোগিতার ফরম্যাটও বদলে গেছে। খেলা হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। তারপর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল হবে চ্যাম্পিয়ন।

ভারত যে খেলতে আসবে না, সেটা গেল কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এর পেছনের কারণ হিসেবে সেসব উড়ো খবর থেকে জানা গেছে যে, বাংলাদেশের সাংবিধানিক সংকট ও বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তা সংকটে এআইএফএফ (অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন) সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এটাই মূল কারণ কি-না, তা চূড়ান্ত ভাবে জানা যায়নি। সাফ সূত্রে জানা গেছে, ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে সাফে না খেলার বিষয়ে অবহিত করেছে।

এর আগে এই টুর্নামেন্টটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা ছিল। তবে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) নতুন সূচির কারণে এটি স্থগিত করে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। পরে ১১ থেকে ২২ জুলাই চূড়ান্ত ডেট নিশ্চিত করে সাফ। আর ভেন্যু হিসেবে নিশ্চিত করা হয় ঢাকার কিংস অ্যারেনাকে। এই মাঠে ক্লাব ও জাতীয় দলের বেশ কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট কখনো হয়নি। তাতে সাফ অ-২০ নারী আসর কিংস অ্যারেনায় টুর্নামেন্টের একক কেন্দ্রীয় ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হচ্ছে। ভারত না থাকায় এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে স্বাগতিক বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের মেয়েরা।

গতকাল এই টুর্নামেন্টের সূচি চূড়ান্ত করেছে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রথম দিনই খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচ ১৩ জুলাই নেপালের বিপক্ষে এবং তৃতীয় ম্যাচ ১৫ জুলাই ভুটানের বিপক্ষে। ফিরতি লিগে বাংলাদেশ ১৭ জুলাই ভুটান, ১৯ জুলাই শ্রীলঙ্কা ও ২১ জুলাই নেপালের বিপক্ষে খেলবে।

সবশেষ অনূর্ধ্ব- ২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল গেল বছর। সেবারও টুর্নামেন্টটি বসেছিল ঢাকায়। কমলাপুর স্টেডিয়ামে ঐ আসরের ফাইনাল ম্যাচটি রূপ নেয় নাটকীয়তায়। ১-১ গোলে শেষ হওয়া বাংলাদেশ-ভারত ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছিল টাইব্রেকারে। সেখানেও ছিল উত্তেজনা। দুই দলই নিয়েছিল ১১টি করে শট। শ্রীলঙ্কার ম্যাচ কমিশনার তালগোল পাকিয়ে ফেললে সেভাবেই শেষ হয় ফাইনাল। পরে সাফ বাংলাদেশ ও ভারতকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল।