Skip to content

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি বাড়ানোর ভুয়া মেইল, চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি বাড়ানোর ভুয়া মেইল, চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটি বাড়ানো হয়েছে এমন একটি ভুয়া মেইলের কারণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। আজ সোমবার (৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইমেইলে পাঠানো একটি নোটিশ পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ঈদের ছুটি ১২ জুন থেকে বাড়িয়ে ১৯ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে প্রকাশিত ছুটি সংক্রান্ত নোটিশে জানানো হয়, ৫ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

ভুয়া নোটিশে বলা হয়, ছুটি ১৯ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে শুধু অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের জন্য। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সহকারী রেজিস্ট্রারের নাম ব্যবহার করা হয়, এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ঠিকানা, ওয়েবসাইট, ফোন নম্বর ইত্যাদিও হুবহু কপি করা হয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী এটিকে প্রথমে সত্য বলে ধরে নেন।

ভুয়া মেইল পাওয়ার পর অনেক শিক্ষার্থী তাদের বাস ও ট্রেনের ফিরতি টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করে ফেলেন। কেউ কেউ ইতোমধ্যে তাদের পরিবারের কাছে ছুটি বাড়ানোর খবরও দিয়ে দিয়েছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সূত্রে অনেকেই বুঝতে পারেন এটি একটি ভুয়া মেইল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ জানান, মজার ছলে আপনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব দিতে পারেন, তবে এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল স্টুডেন্ট মেইলে দেওয়া তো অপরাধ। এতে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ মেইল কেউ বিশ্বাস করবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত, এসব প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থী লেখা বলেন, বিষয়টা মজার মনে হলো তেমনও নয়। এমন অফিসিয়াল মেইলের মতো আসায়, আমরা তো বাসায় বলে দেই অন্য সময় যাব। এখন আবার বলতে হবে, আগের তারিখে যাব। আমার মনে হয়, এটা অনেক নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের বাসায় এক ধরনের অবিশ্বাস তৈরি করতে পারে। সকল পরিবারের এসব বুঝার পরিবেশ তো একই নয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ খায়রুল সগীর বলেন, ফেইক মেইলের বিষয়টি আমি শুনেছি। যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে তাদের চিহ্নিত করার বিষয়ে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় যখন খোলা হবে তখন দেখবো, এখন তো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ।