বৈশাখের রঙিন সাজে

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বছরের প্রথম দিনটিকে ঘিরে আমাদের আনন্দ, উদ্দীপনা আর ভালোবাসা যেন একটু বেশিই থাকে। পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী সবাই মিলে উদযাপন করা এই দিনে সাজ-পোশাকের দিকে বিশেষ নজর যায় সবারই। কিন্তু এবারের বৈশাখে রয়েছে প্রচণ্ড গরম তাই সাজে রাখতে হবে স্বস্তির ছোঁয়া। সাজ হোক এমন যা আপনাকে করবে আকর্ষণীয়, আবার গরমেও রাখবে আরামদায়ক।

পোশাক বাছাই
গরমের মধ্যে সবচেয়ে আরামদায়ক হচ্ছে সুতির কাপড়। তাই পহেলা বৈশাখের সাজে হোক সুতির শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ কিংবা কুর্তি। হালকা রঙের পোশাক যেমন আরাম দেয় তেমনই এই ঋতুতে মানায় দারুণ। লাল-সাদা তো আছেই, চাইলে তার সঙ্গে নীল, হলুদ, সবুজ বা গোলাপি রঙও বেছে নিতে পারেন। পোশাক হোক এমন যাতে সারা দিন চলাফেরা করতে বা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে কোনো ঝামেলা না হয়।
শাড়ি ও ব্লাউজের সমন্বয়
শাড়ি অনেক নারীর প্রথম পছন্দ, বিশেষ করে পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে। সুতির শাড়ি যেমন আরামদায়ক তেমনই স্টাইলিশও হতে পারে সঠিকভাবে পরলে। নতুন শাড়ি না হলেও চলবে। পরিপাটি করে পরা পুরনো কোনো শাড়িও হতে পারে অনন্য। ব্লাউজের দিকেও খেয়াল দিতে হবে খেয়াল। মানানসই ব্লাউজ না হলে পুরো লুকটাই ম্লান হয়ে যেতে পারে। আজকাল একটু ডিজাইন করা স্লিভ বা ব্যাক কাটের ব্লাউজ ট্রেন্ডিং। আপনার পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন সেগুলো।
সাজসজ্জায় হোক হালকাভাব
গরমের মধ্যে ভারী সাজ পরলে অস্বস্তি হতে পারে। তাই গহনার ক্ষেত্রেও রাখতে হবে হালকাভাব। কাঠ, পুতি, মাটি কিংবা কাপড়ের তৈরি গয়না যেমন হালকা তেমনই দারুণ মানায় বৈশাখের সাজে। চাইলে ফুলের গয়নাও পরতে পারেন। একেবারে এক্সট্রা ফ্রেশ আর ট্র্যাডিশনাল লুক! গহনার ভারসাম্য রাখাও জরুরি। যেমন গলায় বড় নেকলেস পরলে কানে হালকা দুল, কিংবা কানে ঝুমকা হলে গলায় ছোট লকেট।

চুলের স্টাইল
গরমে চুল খোলা রাখলে অস্বস্তি হয়। তাই আলগা খোঁপা, হাফ বিনুনি বা পনিটেল করে নিতে পারেন। চাইলে ফুল দিয়ে খোঁপা সাজিয়ে নিতে পারেন। এতে দেখতেও সুন্দর লাগবে, আর গরমেও স্বস্তি পাবেন।
হালকা মেকআপ
গরমের সাজ মানেই হালকা মেকআপ। ত্বকের ধরন অনুযায়ী হালকা বেস, হালকা ব্লাশ, চোখে একটু কাজল বা আইলাইনার, আর ঠোঁটে লিপটিন্ট বা ম্যাট লিপস্টিক এইটুকু সাজেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন অনন্য। যারা মেকআপ একদম পছন্দ করেন না তারা শুধু ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করে ফেস পাউডার ও লিপবাম ব্যবহার করলেও দেখাবে ফ্রেশ।
পহেলা বৈশাখ মানেই শুধু সাজ নয় বরং নিজের স্বস্তি, আনন্দ আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে দিনটা কাটানো। তাই সাজে ভারী অনুষঙ্গ না রেখে নিজের মতো করে সেজে নিন। উৎসবের দিনে স্বাচ্ছন্দ্য আর আনন্দই হোক সবার আগে।