Skip to content

বিশ্ব বদল হয়েছিল দশ নারীর অগ্রগতিতে

বিশ্ব বদল হয়েছিল দশ নারীর অগ্রগতিতে
Oplus_131072

আপনাদের যদি বলা হয়, সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী বলতে আপনি কাদের স্মরণ করে থাকেন? স্বভাবতই এমন প্রশ্নের উত্তরে আলবার্ট আইনস্টাইন, আইজ্যাক নিউটনসহ অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীদের নাম শোনা যায় এবং এই বিজ্ঞানীগণ বিশ্বকে বদলে দিতে ভূমিকা রেখেছেন, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অথচ অতীত থেকেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে নারীদের ভূমিকা ছিল অনন্য এবং অমূল্য। বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও গবেষণার মাধ্যমে মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন নারী বিজ্ঞানীগণ। তবে ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের সাফল্যকে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, অনেক সময় তাঁদের কাজ ছায়ায় ঢাকা পড়েছে।

আজ বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, এবং নারীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিটি শাখায় নিজেদের দক্ষতা ও মেধার প্রমাণ রেখে চলেছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ইতিহাসে নারী বিজ্ঞানীদের অবদান এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে তাঁদের অনুপস্থিতি কল্পনা করাও কঠিন। যদি নারী বিজ্ঞানীরা না থাকতেন, তাহলে চিকিৎসাবিজ্ঞান, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, মহাকাশ গবেষণা, পরিবেশ বিজ্ঞানসহ বহু ক্ষেত্রে অগ্রগতি উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত হতো। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন দশ নারী সম্পর্কে, যাদের অগ্রগতি বিশ্ব বদলে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন।

১। অ্যাডা লাভলেস, গণিতবিদ – এডা লাভলেস (Ada Lovelace) ছিলেন বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার। তিনি ১৯শ শতকের গণিতবিদ এবং লেখিকা। বিখ্যাত গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজের তৈরি করা “অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন” এর জন্য প্রথম অ্যালগরিদম লেখেন।

তিনি ১৮১৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার পুরো নাম ছিল অগাস্টা অ্যাডা কিং, কাউন্টেস অব লাভলেস। তার কাজ কম্পিউটারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে অনেক দূরদর্শী ছিল, যেখানে তিনি দেখিয়েছিলেন যে কম্পিউটার শুধুমাত্র গণনা নয়, বরং আরো জটিল কাজও করতে সক্ষম হবে। এডা লাভলেসকে আধুনিক প্রোগ্রামিংয়ের পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তার সম্মানে “Ada” নামক একটি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করা হয়েছে।

২। মেরি কুরি, পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ মেরি কুরি যাকে বলা হয় বিজ্ঞানের অমর নায়িকা। মেরি কুরি ছিলেন একজন পোলিশ-ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ। তিনি তেজস্ক্রিয়তা (Radioactivity) নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানের দিগন্ত প্রসারিত করেছেন। মেরি কুরি এবং তাঁর স্বামী পিয়ের কুরি একসঙ্গে তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ১৮৯৮ সালে তাঁরা পোলোনিয়াম (Po) ও রেডিয়াম (Ra) নামের দুটি নতুন মৌল আবিষ্কার করেন। তেজস্ক্রিয়তার উপর তাঁদের গবেষণা আধুনিক পারমাণবিক বিজ্ঞান, চিকিৎসা ও শক্তি উৎপাদনের ভিত্তি তৈরি করে।

মেরি কুরি ইতিহাসের প্রথম নারী যিনি নোবেল পুরস্কার পান এবং একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুটি পৃথক বিজ্ঞানের শাখায় নোবেল অর্জন করেন। তাঁর নামে Curie Institute প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা ক্যান্সার গবেষণায় অগ্রগামী ভূমিকা রাখছে। তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের একক “Curie (Ci)” তাঁর নামেই রাখা হয়েছে। তেজস্ক্রিয় পদার্থের দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শের ফলে মেরি কুরি অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হন এবং ১৯৩৪ সালের ৪ জুলাই পরলোকগমন করেন।

৩। জানকী অম্মল, উদ্ভিদবিজ্ঞানী – ভারতের বিজ্ঞান গবেষণার ইতিহাসে ড. জানকী অম্মল (Janaki Ammal) এক অনন্য নাম। তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনামা উদ্ভিদবিজ্ঞানী (botanist) এবং সাইটোজেনেটিক্স (cytogenetics) বিশেষজ্ঞ, যিনি উদ্ভিদ প্রজনন ও কৃষি বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

জানকী অম্মল ১৮৯৭ সালে ভারতের কেরালায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উদ্ভিদের ক্রোমোজোম বিশ্লেষণ করে কীভাবে বংশগতি এবং বৈচিত্র্য পরিবর্তন করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি আখের নতুন জাত উদ্ভাবনে, ভারতের উদ্ভিদ সম্পদ নিয়ে গবেষণা এবং ম্যাগনোলিয়া উদ্ভিদের সংরক্ষণের জন্য কাজ করেন। তাঁর সম্মানে ম্যাগনোলিয়া প্রজাতির একটি গাছের নামকরণ করা হয় Magnolia Kobus Janaki Ammal। ১৯৮৪ সালে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি জেনেটিকস ও উদ্ভিদ প্রজননে ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন।

৪। চিয়েন-শিউং উ, পদার্থবিজ্ঞানী – চিয়েন-শিউং উ-এর জন্ম চীনে। তিনি সেখানকার নানকিংয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ম্যানহাটান প্রকল্পে ভূমিকার জন্য ব্যাপক সমাদৃত তিনি। তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী যিনি এনরিকো ফার্মির তেজস্ক্রিয় বিটা ক্ষয়ের তত্ত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত করেছিলেন। পরে তা পরিমার্জনও করেছিলেন তিনি। ‘উ এক্সপেরিমেন্ট’-এর জন্যও তিনি পরিচিত, যা পদার্থবিদ্যায় সমতার তত্ত্বকে উল্টে দিয়েছিল।

এই আবিষ্কারের কারণে তাঁর পুরুষ সহকর্মীদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। তবে এ কাজের ক্ষেত্রে উ-এর যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তা উপেক্ষা করা হয়েছিল। চিয়েন-শিউং উ ১৯৭৫ সালে জাতীয় বিজ্ঞান পদক ও ১৯৭৮ সালে উলফ পুরস্কার পান। উলফ পুরস্কার পাওয়া প্রথম নারী তিনি। তিনি আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটির প্রথম নারী সভাপতিও ছিলেন।

৫। ক্যাথেরিন জনসন, গণিতবিদ – ক্যাথেরিন জনসন ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী মার্কিন গণিতবিদ। তিনি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি বর্ণ ও লৈঙ্গিক প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করতে পেরেছিলেন। ক্যাথেরিন নাসায় কাজ করা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী।

বুধ গ্রহে অভিযান, চাঁদে অ্যাপোলো-১১ অভিযানসহ গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মহাকাশ অভিযানে তাঁর অবদান ছিল। ক্যাথেরিন জনসন ২০১৫ সালে প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পুরস্কার পেয়েছিলেন। ‘হিডেন ফিগারস’ নামক চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ক্যাথেরিন জনসন ২০২০ সালে ১০১ বছর বয়সে মারা যান।

৬। রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন, রসায়নবিদ – রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন একজন ব্রিটিশ রসায়নবিদ। ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিত। তবে জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিক তাঁর অবদান ব্যবহার করে ডিএনএর গঠন সম্পর্কে তাঁদের নিজস্ব গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা রোজালিন্ডকে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দেননি।

বছরের পর বছর ধরে এক্স-রে বিকিরণের সংস্পর্শে থাকার পর ৩৭ বছর বয়সে ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান রোজালিন্ড। এর মধ্য দিয়ে তাঁর যুগান্তকারী কর্মজীবনের অকাল সমাপ্তি ঘটে। রোজালিন্ডের মৃত্যুর চার বছর পর ১৯৬২ সালে তাঁর পুরুষ সহকর্মীরা নোবেল পুরস্কার পান। কারও কারও ধারণা, রোজালিন্ড বেঁচে থাকলেও হয়তো পুরস্কার পেতেন না, কমিটি হয়তো তাঁকে উপেক্ষা করত।

৭। ভেরা রুবিন, জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভেরা রুবিন ছায়াপথের ঘূর্ণন হার নিয়ে যুগান্তকারী কাজ করেছেন। তাঁর অবদানকে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেকের মতে, এই কাজকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল। অনেক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন ভেরা রুবিন। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি গবেষক ও অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। সহকর্মী কেন্ট ফোর্ডের সঙ্গে মিলে তিনি তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি করেছেন।

তাঁরা দেখতে পান যে ছায়াপথের বাইরের অংশের নক্ষত্রগুলো কেন্দ্রে থাকা নক্ষত্রের মতো দ্রুতগতিতে চলে। পুরো কর্মজীবনে রুবিন বিজ্ঞানে অবদান রাখা নারীদের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। প্রায়ই তিনি লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতেন এবং নারী বিজ্ঞানীদের দিকনির্দেশনা দিতে তিনি কাজ করতেন।
ভেরা কখনো নোবেল পুরস্কার পাননি। জ্যোতির্বিদ্যায় অবদানের জন্য জাতীয় বিজ্ঞান পদকসহ বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর কাজগুলো বিশ্বব্যাপী জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও পদার্থবিদদের অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছে।

৮। গ্ল্যাডিস ওয়েস্ট, গণিতবিদ – পৃথিবীর আকারের গাণিতিক মডেল তৈরির কাজ করেছেন গ্ল্যাডিস ওয়েস্ট। তাঁর এ কাজকে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) প্রযুক্তির ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভার্জিনিয়া স্টেট কলেজ থেকে গণিতে পড়াশোনা করেছেন গ্ল্যাডিস। এরপর তিনি ওয়েস্ট মার্কিন নৌবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে কৃত্রিম উপগ্রহ পরিমাপ ও মহাকর্ষীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাঁর গবেষণাধর্মী কাজগুলো জিপিএসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

SEASAT ও GEOSAT-এর মতো প্রকল্পগুলোতে তাঁর উদ্ভাবনী কাজগুলো পৃথিবীপৃষ্ঠের যথাযথ মডেল তৈরিতে সহায়ক, যা জিপিএসকে নির্ভুল করার জন্য অপরিহার্য। ২০১৮ সালে গ্ল্যাডিস ওয়েস্টকে মার্কিন বিমানবাহিনীর স্পেস অ্যান্ড মিসাইল পাইওনিয়ারস হল অব ফেমে ভূষিত করা হয়। এটি মার্কিন বিমানবাহিনীর মহাকাশবিষয়ক কমান্ডের সর্বোচ্চ সম্মাননা।

৯। ফ্লসি ওং-স্তাল, ভাইরাস বিশেষজ্ঞ – ভাইরাসসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ফ্লসি ওং–স্তালের কাজগুলো এইচআইভি/এইডস–এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি ১৯৪৭ সালে চীনে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তাঁর পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়। সেখানেই পড়াশোনা করেছেন ওং–স্তাল। তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাকটেরিওলজি এবং মলিকুলার বায়োলজির ওপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ওং–স্তালই প্রথম বিজ্ঞানী, যিনি এইচআইভির ক্লোন করেছিলেন এবং এর জিনের একটি নকশা তৈরি করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে ভাইরাসটি নিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়।

তাঁর গবেষণার বদৌলতেই এইচআইভি শনাক্তে প্রথম পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা হয়। পরবর্তী সময় এইচআইভি বিস্তার ঠেকাতেও তাঁর গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। পরে সান ডিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভাইরোলজি ও জিন থেরাপি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যান। ওই সময়ে তিনি শীর্ষস্থানীয় নারী বিজ্ঞানীদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। চিকিৎসাবিজ্ঞান ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ওং-স্তালের অবদানগুলো অনস্বীকার্য। ২০২০ সালের জুলাই মাসে এ বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়।

১০। জেনিফার ডাউডনা, জৈব রসায়নবিদ – জিন সম্পাদনার পদ্ধতি সিআরআইএসপিআর উদ্ভাবন করেন জেনিফার ডাউডনা। এটি একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন। ১৯৬৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারিতে তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বড় হয়েছেন হাওয়াইয়ের হিলোতে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার পোমোনা কলেজ থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন। তিনি বায়োলজিক্যাল কেমিস্ট্রি ও মলিকুলার ফার্মাকোলজিতে পিএইচডি করেছেন।

ডাউডনা ফরাসি বিজ্ঞানী ইমানুয়েল শারপঁসিয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সিআরআইএসপিআর/সিএএস-নাইন নামে জিন সম্পাদনার পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য বেশি সমাদৃত। এই পদ্ধতি বিজ্ঞানীদের অভূতপূর্ব নির্ভুলতা, দক্ষতা ও নমনীয়তার সঙ্গে ডিএনএ সিকোয়েন্স সম্পাদনা করার সুযোগ করে দেয়, যা জেনেটিক গবেষণা ও থেরাপিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। নিজেদের এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ডাউডনা ও শারপঁসিয়ে ২০২০ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান।

অনন্যা ডেস্ক /এসএস