মশা তাড়াতে কয়েল-অ্যারোসলের ব্যবহার নিরাপদ নয়

মশার কামরের থেকে বাঁচতে নিশ্চয়ই ব্যবহার করে থাকেন কয়েল বা অ্যারোসল। তবে এই কয়েল ও অ্যরোসলের থেকে কিভাবে বাঁচবেন? এই কয়েল বা অ্যারোসল মটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এবং এর স্বাস্থ্য-ঝুঁকি সম্পর্কে প্রায় মানুষই জানেনা।
গবেষণা করে দেখা গেছে যে, কয়েলের ধোঁয়া নিকোটিনের ধোঁয়ার মতোই ক্ষতিকর। কয়েল থেকে যে ধোঁয়ায় থাকে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস এবং অ্যারোসলে থাকা ডাইমিথাইল ফাথলেট এবং পাইরেথ্রিনস জাতীয় রাসায়নিকগুলো আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে । আবার অনেকে ঘর বন্ধ করে স্প্রে করে থাকে, এটি আরও বেশি ক্ষতিকারক। কারণ এগুলো ঘরের ভেতরের বাতাসে বিষাক্ত কণা সৃষ্টি করে। যেটা শিশু, বয়স্ক ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
কয়েল ও অ্যারোসল কি কি সমস্যা সৃষ্টি করে, আসুন জেনে নি।
শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করে
কয়েলের ধোঁয়া ও অ্যারোসলে থাকা রাসায়নিক পদার্থ শ্বাসনালীর প্রদাহ, হাঁপানি, এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি হতে পারে
কয়েলের ধোঁয়ায় থাকা রাসায়নিক পদার্থ দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ত্বক ও চোখের জ্বালা করতে পারে
অ্যারোসল স্প্রে করলে প্রায়-ই দেখবেন আপনার চোখ ও ত্বকে জ্বালা করছে, যা অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া ঘটায়।
স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা করে
অ্যারোসলের বিষাক্ত কণা স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা স্নায়বিক ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে।
বিকল্প পদ্ধতি
মশা তাড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভালো হলো মশারির ব্যবহার এছাড়া অ্যান্টি মশা লৌসন, প্রাকৃতিক তেল বা ইলেকট্রিক মশার ব্যাট ব্যবহার করুন এগুলো ব্যবহারে কোরকম স্বাস্থ্য-ঝুঁকি নেই।