সন্তানকে ‘না’ বলা এড়িয়ে
বাড়ির বড়রা যেমন আচরণ করে বাড়ির ছোটরা ঠিক সেই আচরণ গুলোই শেখে। আর সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে গিয়ে বাবা মায়েরা অসচেতন ভাবেই অনেক সময়ই ভুল পদ্ধতি অনুসরণ করে ফেলেন। বেড়ে ওঠার শুরু থেকেই ছোট্ট শিশুটিকে আমরা অনেককিছু তে বাঁধা দিই। যা শিশুর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
আর সন্তানকে সবক্ষেত্রে না করাটা বাবা মায়ের জন্যও খারাপ লাগার। বিশেষ করে একেবারে ছোট শিশু কিংবা কৈশোরে থাকা সন্তানকে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে না করা ছাড়া উপায়ও নেই৷ কারণ সন্তানেরা না জেনেই অনেক কাজ করতে চায় যা তার জন্য বিপদজনক।
এই যেমন আপনার ছোট্ট সন্তানটি যদি পানিতে নামতে চায় তখন নিশ্চয়ই তাকে সেটা করতে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আপনাকে তো না করতেই হবে৷
কিন্তু সবসময় এটা করো না, ওটা করোনা, এদিকে যেও না, ওটা ধরো না এত এত না শুনতে বাচ্চাদেরও ভালে লাগেনা৷ বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয় হয়। আর এভাবে সবকিছুতে না শুনতে থাকলে তারাও নেতিবাচক ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠবে৷ তখন তাদের মধ্যেও ‘না’ এর প্রভাব থেকে যাবে। আপনার না বলা খারাপ কাজের পাশাপাশি ভালো কাজের ব্যাপারেও শিশুদের দিক থেকে ‘না’ আসবে। যেমন অনেক সময় দেখা যায় শিশুরা কেউ কিছু চাইলে দিতে চায়না, কারো সাথে ভালোভাবে কথা বলতে বললে বলতে চায় না।
তাহলে আপনি কি করবেন? তাকে না বলা বন্ধ করে যা তা করতে দেবেন? মোটেই না।
আপনি তাকে ‘না’ বলুন, কিন্তু সেটা ‘হ্যাঁ’ এর মধ্য দিয়ে বলুন। আপনার সন্তান কিছু চাইলে যা তার জন্য অপ্রয়োজনীয় বা ক্ষতিকর তখন তাকে সরাসরি ‘না’ না বলে ঐ জিনিসটি ভালো খারাপ দিক তুলে ধরে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। এতে আপনি তাকে না বলতে যেমন হবেনা তেমনি সে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া শিখবে।
কিন্তু আপনি যদি সন্তানের সাথে খিচমিচ করেন এবং তাকে শাসন করে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তখন সেটা শিশুর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এতে করে শিশুর আচরণে পরিবর্তন আসে।
আপনি সন্তানের সাথে না বলার চর্চা এড়িয়ে চললে সেও ইতিবাচক চিন্তাধারায় বেড়ে উঠবে। সন্তান আপনাকেই অনুসরণ করবে। তাই সন্তানের সাথে সেভাবেই আচরণ করা ভালো হবে।
অনন্যা/এসএএস