অ্যালার্জি সমস্যায় কী খাবেন? পুষ্টিবিদদের পরামর্শ
কিছু পুষ্টি উপাদান অ্যালার্জির সমস্যা লাঘব করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য প্রদাহের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, ভিটামিন সি, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, উদ্ভিজ্জ উপাদান এবং প্রোবায়োটিক্স প্রদাহ কমিয়ে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অতিরিক্ত সক্রিয়তাও হ্রাস করে।

পুষ্টিবিদরা মনে করেন, নির্দিষ্ট কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে অ্যালার্জির উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
আদা
প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে আদা প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত আদা চা পান করলে শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকে এবং অ্যালার্জি উপশমে সাহায্য করে।
হলুদ
হলুদের কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা প্রদাহ কমিয়ে অ্যালার্জির লক্ষণ দূর করতে কার্যকর। খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন হলুদ যুক্ত করলে অ্যালার্জির প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
মৌরি
মৌরিতে থাকা বিশেষ উপাদান শ্বাসনালীর প্রদাহ কমায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ করে। মৌরি চিবিয়ে খাওয়া বা মৌরি চা পান করলে অ্যালার্জির অস্বস্তি দূর হয়।

টক জাতীয় ফল
লেবু, কমলা এবং অন্যান্য টক ফল ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ, যা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে এবং অ্যালার্জির উপসর্গ কমায়। প্রতিদিন টক জাতীয় ফল খেলে অ্যালার্জি প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়।
মধু
স্থানীয় মধুতে বিভিন্ন ফুলের পরাগ কণা থাকে, যা শরীরকে পরাগে অভ্যস্ত করে এবং অ্যালার্জির প্রকোপ কমাতে সহায়তা করে।
দই ও প্রোবায়োটিক খাবার
দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। নিয়মিত দই খাওয়ার মাধ্যমে অ্যালার্জি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সুতরাং, পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এই খাবারগুলো দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে অ্যালার্জির সমস্যা কমিয়ে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা যায়।