Skip to content

লিপজেল ব্যবহার করলেও ঠোঁট ফাটে?

লিপজেল ব্যবহার করলেও ঠোঁট ফাটে?

শীতকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা প্রায় সবারই হয়। এর সমাধানে লিপজেল, লিপবামসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করলেও অনেক সময় সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয় না।

ঠোঁটের ত্বক মুখের ত্বকের চেয়ে অনেক পাতলা ও সংবেদনশীল। তাই শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ঠোঁটের ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। একবার ঠোঁট শুষ্ক হয়ে গেলে ফাটা, রক্তপাত, এমনকি ব্যথাও দেখা দিতে পারে। এ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে লিপবাম বা অন্যান্য ক্রিম ব্যবহার করলেও তাতেও সবসময় কাজ হয় না।

তবে কয়েকটি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ঠোঁট ফাটা সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু সমাধান।

মধু ব্যবহার
মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ঠোঁটের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। মধু ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ মিনিট আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুই থেকে তিনবার এভাবে করলে ঠোঁট নরম ও মসৃণ হয়ে উঠবে।

নারকেল তেল
নারকেল তেলও প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ঠোঁটের ত্বক পুষ্ট করে এবং দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। হালকা গরম নারকেল তেল ঠোঁটে লাগালে শুষ্কতা দূর হবে।

শসার রস
শসার রস মুখের মতো ঠোঁটের জন্যও কার্যকর। শসার রস ও সামান্য মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ঠোঁটের ফাটা ভাব কমাবে এবং ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করবে।

মধু ও গ্লিসারিন
মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ঠোঁটে লাগান। এতে ঠোঁট হবে কোমল এবং কালচে ভাবও কমে যাবে।

গোলাপের পাপড়ি ও দুধ
কাঁচা দুধে গোলাপের পাপড়ি ডুবিয়ে রেখে ঠোঁটে ব্যবহার করুন। দিনে অন্তত তিনবার এই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট হবে কোমল, মসৃণ এবং উজ্জ্বল।

এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে শীতকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।