গায়ে হলুদের ডালা থেকে কুলা: কেনাকাটায় সম্পূর্ণ গাইড
শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের সানাই বাজতে শুরু করেছে। বাংলাদেশে শীতকাল মানেই বিয়ের মৌসুম। নানা রীতি-রেওয়াজ আর উৎসবমুখর আয়োজনের মধ্যে গায়ে হলুদের তত্ত্ব বিনিময়ের ঐতিহ্য পেয়েছে নতুন মাত্রা। বর ও কনে পক্ষের মধ্যে ডালা সাজানোর এই প্রথা এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় আরও বৈচিত্র্যময়।
আপনার যদি এ বছর গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা থাকে এবং ডালা-কুলা সাজানো নিয়ে বিভ্রান্ত হন, তাহলে এই গাইডটি আপনার জন্য। এখানে পাবেন তত্ত্বের ডালা থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সব খুঁটিনাটি তথ্য।
কী কিনবেন?
প্রথমেই দরকার কিছু সুন্দর ডালা। এগুলোতে বিয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন পোশাক, জুতা, প্রসাধনী সাজানো হবে। কিছু ডালা থাকবে বর-কনের বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার পাঠানোর। রুচি ও বাজেট অনুযায়ী এসব ডালা আলাদা করে সাজানো হয়, সঙ্গে ঐতিহ্যের দিকটিও মাথায় রাখা হয়।
গায়ে হলুদের ডালা
বর্তমানে আলাদাভাবে বা সেট হিসেবে গায়ে হলুদের ডালা কিনতে পাওয়া যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোর ডিজাইনেও এসেছে পরিবর্তন। সোনালি রঙের এমব্রয়ডারি, কৃত্রিম ফুল, পুঁতি, এবং স্বচ্ছ প্লাস্টিক কভারের চল এখন বেশ জনপ্রিয়। মূল্যবান বা ভঙ্গুর উপহার পাঠানোর জন্য স্বচ্ছ প্লাস্টিকযুক্ত ঢাকনাযুক্ত বাক্স বেশি ব্যবহার হয়।
মিষ্টি পাঠানোর জন্য গোল অথবা মাছের আকৃতির ডালার চাহিদা বেশি। আধুনিক ডিজাইনের এক ধরনের ডালা রয়েছে, যেখানে ছোট ছোট খোপ করা থাকে, যা মিষ্টি সাজানোর জন্য আদর্শ। এই ধরনের ডালার দাম সাধারণত ৭০০ টাকার কম।
কুলা ও অন্যান্য উপকরণ
হলুদ ও পানচিনি পাঠানোর জন্য ঐতিহ্যগতভাবে কুলা ব্যবহার করা হয়। এগুলোর দাম ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। মুখ দেখার রীতির জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ নকশা করা আয়না, যা পাওয়া যাবে ৮০০ টাকার মধ্যে। পান-সুপারি সাজানোর জন্য তৈরি ডালার দাম থাকে ৫০০ টাকার মধ্যে।
ডালা-কুলার পরিবর্তে নবদম্পতির সংসারে কাজে লাগবে এমন জিনিস কিনতে পারেন। যেমন কাঠের দুই স্তরের তাক, যার দাম ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া বিয়ের পোশাক ঝোলানোর জন্য কাঠের স্ট্যান্ডও দেওয়া যেতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে কাপড় ঝোলানোর কাজে লাগবে। এর দাম প্রায় ৩৬০০ টাকা।
কোথায় কিনবেন?
ঢাকার ধানমন্ডি-২ এর বাটা সিগন্যাল, এলিফ্যান্ট রোড, ইস্টার্ন মল্লিকার গলি, ঢাকা কলেজের উল্টোদিকের মার্কেট এবং মোহাম্মদপুর গার্লস হাইস্কুলের উল্টোদিকের নূরজাহান রোডে এসব ডালা-কুলা পাওয়া যায়।
একই দোকান থেকে সবকিছু কিনলে কিছুটা ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর কেনাকাটার সময় বিক্রয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তারা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা পণ্যটি বেছে নিতে সহায়তা করবেন।
শীতের এই বিয়ের মৌসুমে আপনাদের প্রস্তুতি হয়ে উঠুক স্মরণীয়।