Skip to content

মৃত্যুহার কমাতে নারী চিকিৎসকের ভূমিকা বিশেষভাবে কার্যকর

মৃত্যুহার কমাতে নারী চিকিৎসকের ভূমিকা বিশেষভাবে কার্যকর

নারী চিকিৎসকদের সেবা নিয়ে গবেষণার নতুন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, যা চিকিৎসাক্ষেত্রে নারীদের গুরুত্ব আরও একবার সামনে এনেছে। গবেষণা অনুযায়ী, নারী চিকিৎসকের সেবা পাওয়া রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা এবং পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার তুলনামূলকভাবে কম। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।  

গবেষণাটি চিকিৎসা ও গবেষণাবিষয়ক জার্নাল “অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিনে” প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৭ লাখ ৭৬ হাজার রোগীর ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১০০ জন নারী এবং ৩ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ জন পুরুষ ছিলেন।  

ফলাফল অনুযায়ী, নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যুহার এবং পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার কম। নারী চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা নারী রোগীদের মৃত্যুহার ছিল ৮.১৫ শতাংশ, যেখানে পুরুষ চিকিৎসকের অধীনে এটি ছিল ৮.৩৮ শতাংশ। একইভাবে, নারী চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা পুরুষ রোগীদের মৃত্যুহার ছিল ১০.১৫ শতাংশ, যা পুরুষ চিকিৎসকের অধীনে ১০.২৩ শতাংশ ছিল।  

গবেষণার সহকারী ইয়োসুকে তুগাওয়া বলেছেন, “নারী চিকিৎসকরা সাধারণত রোগীদের ভালো মানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। রোগীদের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো এবং তাদের সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়ার বিষয়টি নারী চিকিৎসকদের অনন্য করে তোলে।”  

বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, নারী রোগীরা নারী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পূর্বের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারী চিকিৎসকরা প্রতিটি রোগীর জন্য গড়ে ২৩ মিনিট ব্যয় করেন, যেখানে পুরুষ চিকিৎসকরা ব্যয় করেন গড়ে ২১ মিনিট।