Skip to content

১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুহা, দ্বীপ ও সাগরের মায়াবি পরিবেশ: হা লং বে

এশিয়া তার অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এ মহাদেশে যেমন রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির জনপদ, তেমনি আছে ঝর্ণার মিষ্টি ধারা, সবুজে আচ্ছাদিত পাহাড়, রেইনফরেস্টের প্রাণবন্ত পরিবেশ ও সাগরের আদিম সৈকত। তবে ভিয়েতনামের হা লং বে এমন এক আকর্ষণ, যা পর্যটকদের বারবার ভিয়েতনামে ফিরে যেতে বাধ্য করে। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য এবং নতুন ৭ আশ্চর্যের অন্যতম। চলুন, হা লং বে-এর বিশেষত্ব এবং এর আকর্ষণীয় স্থানগুলোর বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।  

হা লং বে-এর ভৌগোলিক অবস্থান
উত্তর-পূর্ব ভিয়েতনামের কোয়াং নিন প্রদেশে অবস্থিত হা লং বে ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলরেখা নিয়ে গঠিত। এখানে রয়েছে প্রায় ২,০০০ ছোট ছোট দ্বীপ, যা চুনাপাথরের কার্স্ট দিয়ে তৈরি। অঞ্চলটির ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য একে বিশ্বের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র থেকে আলাদা করেছে।  

বিশেষত্ব ও স্বীকৃতি
১৯৯৪ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। পাশাপাশি ২০১২ সালে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন এটিকে বিশ্বের নতুন ৭টি প্রাকৃতিক আশ্চর্যের একটি হিসেবে ঘোষণা করে। এখানে চুনাপাথরের গঠন এবং এর আশেপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে।  

হা লং বে-এর আকর্ষণীয় স্থানসমূহ
গুহাগুলোঃ
হা লং বে-এর রহস্যময় গুহাগুলো তাদের স্ট্যালাগ্মাইট এবং স্ট্যালাক্টাইট গঠনের জন্য পরিচিত।  

– থিয়েন কুং গুহা: রঙিন স্ট্যালাক্টাইট দিয়ে সজ্জিত।  

– সুং সট গুহা ও ডাউ গো গ্রোটো: এ গুহাগুলো ভিন্ন ভিন্ন আকৃতির কারণে জনপ্রিয়।  

– ত্রিন নু গুহা: সূর্যালোকের প্রতিফলন দেখার জন্য অসাধারণ।  

সৈকত ও দ্বীপপুঞ্জ
টি টপ, এনগক ভুং, এবং বাই চে-র মতো সাদা বালির সৈকতগুলো অনন্য। টিটোভ দ্বীপ থেকে উপসাগরের প্যানোরামিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাওয়া যায়।  

কুয়া ভ্যান ফিশিং ভিলেজ  
৩০০টিরও বেশি পরিবার এই ভাসমান গ্রামে বসবাস করে। এখানকার স্থানীয় জীবনধারা পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ।  

বা হাম লেক
চুনাপাথরের দেয়ালে ঘেরা এই লেকটি কায়াকিং এবং সাঁতারের জন্য আদর্শ। এর সংকীর্ণ টানেলগুলোতে ভ্রমণ রোমাঞ্চকে বাড়িয়ে তোলে।  

ভ্রমণকাল ও খরচ 

-উপযুক্ত সময়: মার্চ-জুন এবং অক্টোবর-নভেম্বর।  

– ভ্রমণ খরচ:  

  – আবাসন: ১,৪৫৫ থেকে ৩,৩১১ টাকা।  

  – খাবার: ১,২১৮ থেকে ৩,২৭১ টাকা।  

  – ক্রুজ শিপ: ৮,২৪০ টাকা থেকে শুরু।  

যাতায়াত ব্যবস্থা  
হানয় থেকে বাস, ট্রেন বা নৌকায় সহজে হা লং বে যাওয়া যায়। সরাসরি বা ট্রানজিটসহ ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে হানয়ে পৌঁছানো সম্ভব।  

হা লং বে প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। গুহাগুলোর রহস্যময় পরিবেশ, দ্বীপপুঞ্জের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য এবং তাজা সামুদ্রিক খাবার এই স্থানটিকে অনন্য করে তুলেছে। সাশ্রয়ী খরচে ভ্রমণের জন্য অফ-পিক সিজনকে বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ