দক্ষিণ ভারতে নিজস্ব ভাষার ছবিকেই প্রাধান্যে দেওয়া হয়
পুজোর সময় মুক্তি পেয়েছিল তিনটি বাংলা ছবি—বহুরূপী, টেক্কা, এবং শাস্ত্রী। যদিও শাস্ত্রী বক্স অফিসে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, বহুরূপী এবং টেক্কা বেশ ভালো ব্যবসা করেছে। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের পরিচালনায় বহুরূপী ইতিমধ্যেই ১৩ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে, আর দেব অভিনীত টেক্কাও ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ব্যবসা করেছে। তবে দীপাবলিতে হিন্দি ছবি সিংঘম এগেন এবং ভুল ভুলাইয়া ৩ মুক্তি পাওয়ায় বাংলা ছবির শো সংখ্যা কমে যায়।
১ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার পর হিন্দি ছবিগুলির কারণে বহুরূপীর শো সংখ্যা ৩১২ থেকে নেমে ৭৬-এ দাঁড়ায়, এবং টেক্কার শো এখন মাত্র ১৪টি। এই পরিস্থিতি নতুন নয়; প্রায়ই বড় হিন্দি ছবি মুক্তি পেলে বাংলা ছবির শো কমানো হয়। দক্ষিণ ভারতে স্থানীয় ভাষার ছবির প্রতি অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ছবির ক্ষেত্রে এমন উদ্যোগ নেই, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এই প্রসঙ্গে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “দীপাবলির পর আবার বাংলা ছবির শো বাড়বে। তবে দক্ষিণ ভারতে যে নিজেদের ভাষার ছবিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, এখানে সেটি অনুপস্থিত। আমাদের বারবার প্রমাণ করতে হবে এবং আরও সফল ছবি দিতে হবে, তবেই এক নেগোশিয়েশনের জায়গায় আসতে পারব।”
আগামী বড়দিনেও বাংলা ছবির জন্য প্রতিযোগিতা বাড়বে। দেবের খাদান, রাজ চক্রবর্তীর সন্তানসহ বেশ কয়েকটি বাংলা ছবি মুক্তি পেতে পারে, পাশাপাশি হিন্দি ছবির দাপটও থাকবে। সেই সময় বাংলা ছবিগুলি কি দর্শকের মন জয় করতে পারবে, নাকি ফের হিন্দি ছবির ছায়ায় ঢাকা পড়বে, সেটাই দেখার বিষয়।