Skip to content

২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বুধবার | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের ক্ষতি, সহজ সমাধান

লিপস্টিক নারীদের সাজসজ্জার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। প্রতিদিনের সাজে অনেকেই লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন। তবে নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের কারণে ঠোঁটের ত্বক অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদিও লিপস্টিক ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়ায়, তবু এতে থাকা কিছু রাসায়নিক উপাদান ঠোঁটের স্বাভাবিক আর্দ্রতা এবং স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহারে সম্ভাব্য ক্ষতি

ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাওয়া
বেশিরভাগ লিপস্টিকে মোম এবং অ্যালকোহল থাকে, যা ঠোঁটকে শুষ্ক করে তোলে। প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে যেতে পারে, যার ফলে ঠোঁট ফেটে যাওয়া, রুক্ষ হয়ে যাওয়া এবং চামড়া ওঠার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

পিগমেন্টেশন
লিপস্টিকে ব্যবহৃত কৃত্রিম রং বা ডাই ঠোঁটের ত্বকে জমে গিয়ে কালো দাগ বা পিগমেন্টেশনের সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘদিন নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের প্রাকৃতিক গোলাপি আভা হারিয়ে কালচে হয়ে যেতে পারে।

রাসায়নিক সংবেদনশীলতা
লিপস্টিকের অন্যতম উপাদান হলো প্রিজারভেটিভস ও সিন্থেটিক সুগন্ধি। এগুলো নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয় এবং ঠোঁটের ত্বকে অ্যালার্জি, চুলকানি বা র‍্যাশ হতে পারে।

ঠোঁটের আকার ও স্বাস্থ্য পরিবর্তন
প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের নরম ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যেতে পারে। লিপস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিক ঠোঁটের ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করে ঠোঁটের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে।

ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাব
অনেক নিম্নমানের লিপস্টিকে সীসা, ক্যাডমিয়াম এবং প্যারাবেনের মতো ক্ষতিকর উপাদান থাকে, যা শরীরের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে। যদিও সীসার মাত্রা সাধারণত সীমিত থাকে, তবে প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহারে এই উপাদানগুলো শরীরে জমা হতে পারে।

ক্ষতি প্রতিরোধে করণীয়

লিপ বাম ব্যবহার করুন
লিপস্টিক ব্যবহারের আগে লিপ বাম বা লিপ প্রাইমার ব্যবহার করলে ঠোঁটের ত্বক আর্দ্র থাকবে এবং লিপস্টিকের ক্ষতিকর উপাদান ঠোঁটের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে আসবে না। এটি ঠোঁটকে শুষ্কতা এবং ফাটার হাত থেকে রক্ষা করবে।

মানসম্পন্ন লিপস্টিক বেছে নিন
নিম্নমানের লিপস্টিক ব্যবহারের পরিবর্তে গুণগত মানসম্পন্ন ব্র্যান্ডের লিপস্টিক বেছে নেওয়া উচিত, যাতে ক্ষতিকর রাসায়নিকের পরিমাণ কম থাকে। অর্গানিক বা প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ লিপস্টিক ঠোঁটের জন্য তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।

ঠোঁটের জন্য পর্যাপ্ত আর্দ্রতা নিশ্চিত করুন
প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহারের পাশাপাশি ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ময়েশ্চারাইজার লাগানোর অভ্যাস করা উচিত।

মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করে লিপস্টিক তুলুন
দিন শেষে লিপস্টিক তোলার জন্য শুধু পানি ব্যবহার না করে ভালো মানের মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করা উচিত। এতে ঠোঁটে লিপস্টিকের ক্ষতিকর রাসায়নিক জমা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করুন
সপ্তাহে অন্তত একদিন ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করার জন্য ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। চিনির স্ক্রাব বা নরম ব্রাশ দিয়ে ঠোঁটের ত্বক ঘষে নিলে ঠোঁটের রুক্ষতা কমে এবং আর্দ্রতা বজায় থাকে।

প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের ত্বকে নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তবে সঠিক যত্ন ও সতর্কতার মাধ্যমে এই ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব। নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নিলে ঠোঁট সুন্দর, স্বাস্থ্যকর এবং কোমল থাকবে, পাশাপাশি লিপস্টিক ব্যবহারের সৌন্দর্যও বজায় থাকবে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ