Skip to content

১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘরে নতুনত্ব আনুন সামান্য বাজেটেই

বসার ঘর আমাদের ঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে একটি। এটি এমন একটি স্থান যেখানে আমরা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাই এবং অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাই। তাই বসার ঘর সাজিয়ে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেকেই মনে করেন, ঘর সাজাতে প্রচুর টাকা খরচ করতে হবে। আসলে, সঠিক পরিকল্পনা ও নানান কৌশল খাটালে কম খরচেই আপনার বসার ঘরকে নতুনভাবে সাজানো সম্ভব। আসুন জেনে নিই, কীভাবে কম বাজেটে বসার ঘর সাজানো যায়।

আসবাবপত্র পুনর্ব্যবহার করুন
নতুন আসবাব কেনার বদলে পুরনো আসবাবপত্র পুনর্ব্যবহার করে ঘরকে নতুন রূপ দেওয়া যায়। পুরনো কাঠের টেবিল বা চেয়ারগুলোকে রং করে অথবা পালিশ করে তাদের নতুন করে তোলা যায়। হাতের কাছে থাকা পুরনো সোফাগুলোকে নতুন কুশন ও কভার দিয়ে আপডেট করা যায়। এভাবে পুরনো আসবাবপত্রে সামান্য পরিবর্তন এনে ঘরের পরিবেশ বদলে ফেলা সম্ভব।

দেয়ালে রং বা ওয়ালপেপার
দেয়ালে সামান্য রঙের পরিবর্তন পুরো ঘরের পরিবেশকে বদলে দিতে পারে। গাঢ় রংয়ের একটি ফিচার ওয়াল তৈরি করুন বা অল্প খরচে ওয়ালপেপার লাগান। বাজারে পাওয়া যায় এমন সস্তা ওয়ালপেপারগুলো ঘরের দেয়ালে নতুনত্ব এনে দিতে পারে। তাছাড়া, আপনি চাইলে নিজের হাতে দেয়ালে শিল্পকর্ম বা জ্যামিতিক নকশা আঁকতেও পারেন, যা ঘরে একটি বিশেষ শৈল্পিক পরিবেশ তৈরি করবে।

সৃজনশীল কৌশল অনুসরণ করুন
কাগজ, বেত, বা টিনের তৈরি ছোট ছোট জিনিস দিয়ে ঘরের কোণে কিংবা টেবিলে সাজানো সম্ভব। নিজেই হাতের তৈরি কিছু শিল্পকর্ম বসার ঘরে রেখে দিতে পারেন, যা সাশ্রয়ী এবং ব্যক্তিগত স্পর্শও রাখে। অনেক সৃজনশীল ও কম খরচের মধ্যে এসব উপায় পেতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা সোর্স থেকে ধারণা নিতে পারেন।

গাছপালা দিয়ে সজ্জা
কম খরচে ঘর সাজানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ইনডোর প্ল্যান্ট ব্যবহার করা। ছোট্ট টবে কিছু ইনডোর গাছ যেমন মানি প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, কিংবা এলোভেরা বসিয়ে ঘরের কোণে রাখা যায়। গাছপালা ঘরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সতেজতা নিয়ে আসে এবং এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণও খুব সহজ।

কুশন ও রাগস দিয়ে বৈচিত্র্য আনুন
নতুন কুশন কভার বা রাগস কিনে বসার ঘরে আনতে পারেন একটু উজ্জ্বল রং এবং টেক্সচার। এটি ঘরের রঙ এবং সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেছে নিলে ঘরকে অনেক বেশি প্রাণবন্ত ও আরামদায়ক দেখায়। বাজারে সস্তা কুশন ও রাগস পাওয়া যায়, যা খুব অল্প খরচেই ঘরের আভিজাত্য বাড়াতে পারে।

আলো ও প্রদীপের ব্যবহার
বসার ঘরে আলো পরিবর্তন করে একটি ভিন্ন আবহ সৃষ্টি করা যায়। নরম আলো দেওয়া ছোট ল্যাম্প বা ফেয়ারি লাইট ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ঘরে আরামদায়ক ও উষ্ণ পরিবেশ তৈরি করে। পুরনো কাঁচের বোতল বা মোমদানিতে মোমবাতি ব্যবহার করেও ঘরে শৈল্পিক ভাব আনা যায়।

ছবি ও প্রিন্ট দিয়ে দেয়াল সাজান
আপনার নিজস্ব কিছু ফটো বা আর্ট প্রিন্ট ব্যবহার করে দেয়াল সাজানো যেতে পারে। ফ্রেমবিহীন প্রিন্টগুলোকেও সঠিকভাবে দেয়ালে ঝুলিয়ে শিল্পকর্মের রূপ দেওয়া যায়। এছাড়া পছন্দের উক্তি বা ছবির প্রিন্ট বানিয়ে সেগুলো দেয়ালে লাগাতে পারেন। এতে ঘরটি ব্যক্তিগত ও আবেগঘনভাবে সাজানো হবে, যা খুব বেশি খরচ ছাড়াই দৃষ্টিনন্দন মনে হবে।

পর্দা বদলানো
নতুন পর্দা লাগানোর বদলে আপনি পুরনো পর্দা পুনর্ব্যবহার করতে পারেন। পুরনো পর্দাগুলোকে সঠিকভাবে ধুয়ে এবং রং পরিবর্তন করে ঘরের সাথে মানানসই করা যেতে পারে। এটি ঘরের সাজসজ্জায় বেশ বড় পরিবর্তন আনতে পারে, অথচ খরচ খুবই কম।

কম খরচে বসার ঘর সাজানোর মূলমন্ত্র হলো সৃজনশীলতা এবং পুরনো জিনিসের সঠিক ব্যবহার। নতুন কিছু কেনার আগে পুরনো আসবাবপত্র এবং আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের সৃজনশীল পুনর্ব্যবহার আপনার বাজেটের মধ্যে বসার ঘরকে নতুন রূপ দিতে পারে। তাই সামান্য কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনার ঘরকেও করে তুলুন অনন্য এবং আকর্ষণীয়।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ